• মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গণমানুষের অধিকার

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৬৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯

৩ মে ২০১৯,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,ডেস্ক রিপোর্ট:

‘সমাজের আয়না’, ‘জাতির বিবেক’, ‘চতুর্থ স্তম্ভ’, ‘ওয়াচডগ’ প্রভৃতি নানা অভিধা গণমাধ্যম, সংবাদপত্র, সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এ অভিধাগুলোর বাস্তবরূপ কতটা দৃশ্যমান, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এক্ষেত্রে সমাজ-বাস্তবতা, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, সমাজে বিরাজমান বিভিন্ন অনুষঙ্গের দায়কেও উপেক্ষা করা যাবে না। তবে, গণমাধ্যমের উৎপত্তি ও বিকাশের উদ্দেশ্যের দিকে যদি দৃষ্টি নিবদ্ধ করি, তাহলে বলতে হয়, গণমানুষের সার্বিক কল্যাণের জন্যই গণমাধ্যমের সৃষ্টি।

অর্থাৎ গণমাধ্যম হবে গণমানুষের সারথিস্বরূপ। অসহায় মানুষের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, যন্ত্রণা, হতাশা, দুর্দশা, অসাম্য প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে সমাধানের পথ ত্বরান্বিত করবে গণমাধ্যম। আবার দুর্নীতি, অপরাধ, অনাচার, অবিচার তথা সমাজের নেতিবাচক দিকগুলোর বিরুদ্ধেও হবে সোচ্চার। আর এ সোচ্চার হওয়ার মাধ্যমে প্রকারান্তরে মানুষকে সংশোধনের পথ বাতলে দিয়ে একটি সুন্দর, নৈতিক ও মানবিক পৃথিবী গড়ে তোলাই হবে গণমাধ্যমের লক্ষ্য। একমাত্র স্বাধীন গণমাধ্যমই এ লক্ষ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এত গেলো সমাজে গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সঙ্গে গণমানুষের অধিকারের সম্পর্ক খুঁজতে গেলে তাকাতে হবে সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের দিকে। ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ ঘোষণা প্রদান করা হয়। এ ঘোষণাপত্রের ১৯ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতায় অধিকার রয়েছে। অবাধে মতামত পোষণ এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে যেকোনো মাধ্যমে ভাব ও তথ্য জ্ঞাপন, গ্রহণ ও সন্ধানের স্বাধীনতাও এ অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন