এনামুল কবির (মুন্না)ঃ
দোয়ারাবাজারে অভিযান চালিয়ে মারামারি মামলার প্রধান আসামি কে আটক করেছে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশ।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃআবুল হাসেমের তত্বাবধানে এসআই রাকিবুল হাসানের নেতৃত্বে সংঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাতে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল গ্রাম থেকে মনোরঞ্জন দাসকে আটক করা হয়।
আটককৃত মনোরঞ্জন দাস প্রকাশ রঞ্জু দাস দোয়ারাবাজার থানার নিয়মিত মামলা নং ৮ তারিখ ১৯/৫/১৯ইং মামলার প্রধান আসামি সে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল নতুন পাড়া গ্রামের মনিন্দ্র দাশের পুত্র।সে দোহালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সহায়ক হিসাবে কর্মরত রয়েছে।
উল্লেখ্য শনিবার দুপুরে উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল নতুন পাড়া গ্রামের বংক দাস ও মনিন্দ্র দাসের পুত্র দ্বয়ের মধ্যে বসত ভিটার জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে মহিলা সহ আহত ৫ জন। গুরুতর আহত ৩ জন কে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায় বংক দাসের বসত বাড়ির জমিতে মনিন্দ্র দাসের পুত্ররা জোর পুর্বক দখল নিতে চাইলে এতে বাধা দেওয়াতে মনিন্দ্র দাসের পুত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে একপর্যায় বংক দাসের ছেলেদের উপর হামলা চালায়।
হামলায় গুরুতর আহতরা হলেন, বংক দাসের পুত্র শিবু দাস, অধর দাসের পুত্র সুদির দাস, প্রমোধ দাসের স্ত্রী অনিতারাণী দাস, সুদির দাসের পুত্র অসিত দাস, প্রমোধ দাসের পুত্র অলক দাস। শনিবার দুপুরে মনিন্দ্র দাসের পুত্র রঞ্জু দাস, মঞ্জু দাস, সঞ্জু দাস,মলয় দাস সবাই মিলে একত্রিত হয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বংক দাসের পুত্র দ্বয়ের উপর অর্তকিত হামলা করে তাদের কে গুরুতর আহত করে।
দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃআবুল হাসেম আসামি মনোরঞ্জন দাসকে আটকের কথা স্বীকার করে বলেন শনিবার মনোরঞ্জন দাসকে প্রধান আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে মামলা নং ৮ তারিখ ১৯/৫/২০১৯ ধারা ১৪০/৪৪৭/৩২৩/৩২৭/৩২৫/৩২৬/৩০৭ ও ৫০৬ প্যানেলকোড! রবিবার রাতে তাকে আটক করা হয়েছে। সোমবার তাকে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হবে।