২৮ জুন ২০১৯, বিন্দুবাংলা টি.. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আগামী রোববার পাস হচ্ছে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট। সাধারণ মানুষ বিশেষত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী ও পুঁজিবাজারের কথা চিন্তা করে এসব পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অর্থবিল ও বাজেট পাসের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবর্তনের কারণ সম্পর্কে জাতীয় সংসদে বিস্তারিত বলতে পারেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৩ জুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট ও অর্থবিল- ২০১৯ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এরপর প্রস্তাবিত বাজেটের বেশকিছু বিষয় নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের খুশি করতে যেসব বিষয় সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও সমালোচিত হয়েছে সেগুলোতে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। আগের কয়েকটি অর্থবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থবিল বাজেট পাসের দিন আলোচিত-সমালোচিত বিষয়ে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাব করলেই সাধারণত সেটি কার্যকর বলে ধরা হয়। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবনাগুলো কার্যকর করেই অর্থবিল ও বাজেট পাস করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) শেরেবাংলা নগরে অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে অর্থ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বেশকিছু বিষয়ে পরির্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিকট পরিবর্তিত বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে পরিবর্তন আনতে সংসদে প্রস্তাব করবেন।
সূত্র জানায়, সঞ্চয়পত্রে বর্ধিত উৎসে কর প্রত্যাহার, বিদ্যুৎ সংযোগে টিআইএন বাধ্যতামূলক না করা, পুঁজিবাজারের রিটেইন আর্নিংস ও রিজার্ভের ওপর কর প্রত্যাহার এবং সিমেন্ট ও রডে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আগামী শনিবার অর্থবিল- ২০১৯ এবং পরের দিন বাজেট পাস হবে। সূত্র : ইনকিলাব
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।