July 1, 2025, 10:37 pm
সর্বশেষ:
মেঘনার মুক্তিনগর বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার বিরল দৃষ্টান্ত: কিডনি দিচ্ছেন জীবনসঙ্গিনী এক ব্যক্তির বারো হাত : সবগুলোই গিরগিটির মতো সমাজে বিচরণ আনারপুর বাস স্ট্যান্ড টার্নিং পয়েন্টে প্রতিদিন দুর্ঘটনা, প্রতিকারে নেই কার্যকর পদক্ষেপ একজন উপদেষ্টার আশকারা পাচ্ছে মুরাদনগরের দুষ্কৃতকারীরা: মির্জা ফখরুল হয়রানিমূলক গ্রেপ্তার ও মামলা এড়াতে ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধন এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক পরকীয়া একটি সামাজিক বিপর্যয়, নিপীড়নের শিকার নারী চোরের মা’র বড় গলায় যে ক্ষতি হয় সমাজের মার্চ টু এনবিআর স্থগিত, অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আন্দোলনকারীরা

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ফেনীর পরশুরাম সরকারী কলেজ

৫ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম,

সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর উত্তর সীমান্তবর্তী পরশুরাম উপজেলায় উচ্চ শিক্ষার প্রসারে ঐতিহ্যের দিক থেকে অনন্য ভূমিকা পালনকারী বিদ্যাপীঠটির নাম পরশুরাম সরকারি কলেজ।এক সময় এই অঞ্চলে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখা একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যাবাহি পরশুরাম সরকারী কলেজটি বিভিন্ন মূখী সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বর্তমানে অনেকটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।সরকারী এই কলেজটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ খালি পড়ে আছে প্রভাষকের ১৬ টি পদ।

বর্তমানে কলেজেটিতে রয়েছে মাত্র ৪ জন প্রভাষক।এই ৪ জন সহকারী প্রভাষক  ইতিহাস,বাংলা ও হিসাব বিজ্ঞান বিষয় ছাত্র-ছত্রীদের পাঠদান করাচ্ছেন।কলেজটিতে বাংলা,ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি,অর্থনীতি, রাষ্টবিজ্ঞান, দর্শন, ব্যবস্থাপনা,পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা,প্রাণিবিদ্যা ও গনিত বিভাগে পাঠদানে কোন বা প্রভাষক নেই।শূণ্য রয়েছে অধ্যক্ষ ও সকারী অধ্যক্ষের পদ দুটিও।কলেজটির প্রতিষ্ঠা লগ্নথেকে গ্রন্থাগার, সহকারী গন্থাগার,প্রদর্শক,কম্পিউটার অপরারেটর ও ল্যাবরেটরী সহায়ক এইসব গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলি ছিল শূণ্য।

কলেজটিতে বর্তমানে যে ৪ জন সহকারী প্রভাষক দায়িত্বরত আছেন,তাদের মধ্য থেকে আবু কায়সার মোঃহারেছ নামে একজন অনেকটা বাদ্যহয়ে সহকারী অধ্যক্ষ পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে,কলেজটির প্রশাসনিক কার্যক্রম কোনমতে চালিয়ে যাচ্ছেন।অনইচ্ছা শর্তে অনেকটা বাদ্যহয়ে ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকারী পরশুরাম সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কায়সার মোঃহারেছ জানান,শিক্ষক শূণ্যতার বিষয়টি সমাধান কল্পে তিনি,ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ বিভিন্ন দপ্তরে বারবার অবহিত করে যাচ্ছেন,কিন্তু কেউ কোন কার্যকরী প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না।ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরো জানান,বর্তমানে মাত্র ৪ জন সহকারী প্রভাষক দিয়ে শ্রণীকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াটা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।যার কারণে কলেজটির পড়াশোনার মানোন্নয়ন কোনভাবেই উন্নয়ন করা যাচ্ছেনা না বলে জানান,আবু কায়সার মোঃহারেছ।একাদ্বশ  শ্রেণীতে নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্র মোঃইছমাইল, সোহরাব হোসেন ও আমজাদ হোসেন জানান, কলেজটিতে পাঠদানকারী প্রভাষকের এতবেশী সংকট যে,ভর্তি হওয়ার পর থেকে আমরা কলেজটিতে প্রতিদিনই যেকোন একটি বিষয়ে ক্লাস করার পর,এই পর্যন্ত দ্বিতীয় কোন ক্লাস করতে পারিনি।কলেজটি শিক্ষক সংকটে পড়ার মূল সমস্যাটি তুলেধরে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছত্রীদের অভিবাবকরা জানান, পরশুরাম সরকারী কলেজে অধ্যক্ষ ও প্রভাষকদের থাকার জন্য সরকারীভাবে কলেজে বা কলেজের বাহিরে কোথাও আবাসন কোন ব্যাবস্থা না থাকায় শহরের কলেজ থেকে বদলী হয়ে আসা কোন প্রভাষক এই কলেজে এক সপ্তাহের বেশী অবস্থান করেনা।

শিক্ষার মানোন্নয়ন ও অধ্যক্ষ এবং সহকারী অধ্যক্ষসহ প্রভাষক পদ শূণ্য হয়ে পড়া বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে,ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা পরশুরাম সরকারী কলেজটিকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থী, শিক্ষানুরাগি,শিক্ষক,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছত্রীদের  অভিবাবকগণসহ স্থানীরা,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা