৯ জুলাই ২০১৯ বিন্দুবাংলা টিভি. কম, আহসান হাবিব লায়েক,
স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে প্রতারণার মাধ্যমে ৫লক্ষ টাকা চাদাঁ নেওয়ার চেষ্টাকালে কানাইঘাটের আলী আহমদ নামের এক দালালকে গত রবিবার ভোরে সিলেটের পুলিশ সুপারের নির্দেশে কানাইঘাট থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
সে উপজেলার সাতবাঁক ইউপি’র জয়পুর (পূর্ণখলা) গ্রামের মৃত মকবুল আলীর পুত্র। জানা যায় সদ্য বাংলাদেশ পুলিশে “ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি)” পদে একই ইউপি’র জুলাইগ্রামের দরিদ্র জমির উদ্দিনের পুত্র ইমরান হোসেন উর্ত্তীণ হয়। আর এই উত্তীর্ণটাই আলী হোসেন ও তার সহযোগী জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস ছাত্তার টাকা দিয়ে লবিং করে এনেছেন বলে ইমরানের পরিবারের কাছে তারা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন।
এক পর্যায়ে গত শুক্রবার আলী আহমদ ইমরানের মা-বাবার কাছে ৫ লক্ষ টাকা ছাড় দিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দেওয়ার দাবী করে। অন্যতায় ছেলের চাকরী চলে যাওয়া সহ নানা হুমকী দেয়। এমতাবস্থায় গত শনিবার সিলেটে সদ্য বিজয়ী পুলিশ কনস্টেবল সদস্য ও তাদের অভিভাবকদের অনুভুতি জানতে চান পুলিশ সুপার ফরিদ আহমদ। সেই অনুষ্টানে পুলিশ সুপারের বক্তব্যের জবাবে সাহস করে দরিদ্র ইমরানের মা আনোয়ারা বেগম, আলী হোসেনের চাঁদাবাজীর সকল অপকর্ম তার অনুভুতিতে তুলে ধরেন বলে জানা গেছে।
পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ ঘটনার সত্যতা পেয়ে কৌশলী ফাঁদ পেতে গত রাতে তাকে গ্রেফতার করেন। পরে ইমরানের মা আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে আলী হোসেন ও তার সহযোগী আব্দুস ছাত্তারকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নং ৬ তাং ৬/৭/২০১৯ইং।
উল্লেখ্য আলী আহমদ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দাবীদার। বর্তমান সাতবাঁক ইউপি’র উপ-নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন। এ ব্যাপরে সাতবাঁক ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতি মখদ্দুস আলী ও সাধারণ সম্পাদক সাতবাঁক ইউপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুন নুর জানান আলী আহমদ তাদের কমিটি’র কেউ নয়।