১২ জুলাই ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, আ: হালিম সিকদার : মেঘনা – কাঠালিয়া নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলীয় জনতার স্বপ্নের মেঘনা উপজেলা আজ নতুন ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে। যেখানে পায়ে হাটা ছাড়া আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া যাতায়াতের আর কোন মাধ্যম ছিলোনা দেরিতে হলেও আমরা আজ সড়ক যোগাযোগে মহাসড়কে পা দিয়েছি। বিগত দিনে সরকারি সার্ভিস বি আর টিসি বাস কয়েক মাস চললেও তা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর গত ৯ জুলাই স্থানীয় সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের উপস্তিতিতে “মেঘনা সুপার সার্ভিস ” চালু করা হয়। এটি মেঘনা বাসীর জন্য নতুন ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে। প্রেসক্লাব মোড় থেকে গুলিস্তান নিয়মিত চলাচল করবে ফলে মেঘনা বাসী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা হোমনা, বাঞ্চারামপুর ও মুরাদ নগরের নাগরিকরা ইচ্ছে করলে স্বল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে ঢাকা যাতায়াত করতে পারবে। মেঘনা থেকে যানজট না থাকলে মাত্র ৪০ থেকে ৬০ মিনিটের মধ্যে গুলিস্তান পৌঁছে যাবে। মহাসড়কে মিনি বাস সার্ভিস চললে দেশ বাসীর নজরে মেঘনা নামটি সু পরিচিতি হবে খুব শিগগিরই। প্রসার হবে মেঘনা উপজেলা নাম। এই নতুন অধ্যায় আজ মেঘনা বাসীকে আলোকিত করতে সহায়ক হবে। কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করলে তারা জানায় আমরা আমাদের মেঘনা সুপার সার্ভিস ব্যবস্থাপনায় যাত্রীর সেবার মান যেভাবে উন্নয়ন করা যায় সেই ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। গাড়ি আপাতত অল্প থাকলেও আগামী সপ্তাহে প্রয়োজন স্বপেক্ষে গাড়ির সংখ্যা বাড়াবো যেন যাত্রী সাধারনের কোন রুপ বিরম্বনা পোহাতে না হয়। আমরা জানি এই সার্ভিসের সাথে মেঘনা উপজেলা বাসীর ইজ্জত জড়িত, সে দিকে খেয়াল রেখে সকল স্টাফদের চলতে কড়া নজর রাখা হবে। কোন যাত্রী হয়রানির শিকার যেন না হয় এবং সার্ভিস যেন যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য দূর্ভোগ পোহাতে না হয় সে দিকে বিশেষ নজর রাখবো ইনশাআল্লাহ। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। ভাড়া ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি চিটাগাং রোডে ও শনির আখরায় কাউন্টার রাখবো কারন আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ এই এলাকায় বেশি বসবাস করে। এদিকে এই সার্ভিস সঠিক ভাবে পরিচালনা হয় কিনা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন পরোক্ষ নজর রাখবে। সকলেই ভ্রমণের মাধ্যমে মেঘনা সুপার সার্ভিস কে সহযোগিতা করার আহবান জানান কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।