৭ অক্টোবর ২০১৯, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বাসস্থান বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মনে করে—সবার জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন। এটি ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে চলেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য র্যালিতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সোমবার সকালে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন ঘোষণা করেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপন করছে। এবারের প্রতিপাদ্যের মূল কথা—অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে সেটাকে কাজে লাগানো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মনে করে—সবার জন্য আবাসন, কেউ থাকবে না গৃহহীন। এটি ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে চলেছে। দেশের বিত্তবান, মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, এমনকি যাদের কোনও কিছু নেই, অর্থাৎ যারা ভাসমান বস্তিবাসী তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। একজন লোকও দেশে আবাসহীন থাকবে না। জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বাসস্থান বাস্তবায়নের জন্য আমরা কাজ করে চলেছি।
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের আবাসন প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে—বাসযোগ্য, পরিবেশসম্মত আধুনিক আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। ঢাকা শহর থেকে গ্রামপর্যায়ে এবং ‘আমার গ্রাম-আমার শহরথ ধারণাকে কার্যকর করে নাগরিক সুবিধা সব মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। সারাবিশ্বকে বাসযোগ্য, পরিবেশসম্মত ও সমৃদ্ধ আধুনিক বিশ্বে পরিণত করার যে বিশ্বব্যাপী পরিকল্পনা, তার রোল মডেল বাংলাদেশ। এই রোল মডেল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুপরিকল্পিতভাবে বিশ্ব বসতি দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা চাই সব মানুষ সম্মিলিতভাবে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তুলুক।
তিনি আরও বলেন, ‘সবার জন্য পরিবেশসম্মতভাবে আবাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকার সারাবিশ্বে রোল মডেল হবে। সারা দুনিয়ায় যেমন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা, এক্ষেত্রে তার নেতৃত্ব থেকে সারা দুনিয়া শিক্ষা গ্রহণ করবে।
র্যালির সমাপনী বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার বলেন, ‘মন্ত্রণালয়াধীন সব আবাসন প্রকল্পে আমরা আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংস্থান রাখবো। এ লক্ষ্যে এরইমধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি।
উল্লেখ্য, সবার জন্য আবাসন নিশ্চিতকরণসহ বাসযোগ্য ও নিরাপদ আবাসস্থলের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৬ সাল থেকে সারাবিশ্বে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব বসতি দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। এ বছরও বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।