• মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৪০ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি যাত্রী বেশে ট্রলারে উঠে অপহরণকারীরা, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি — পরে মিলল লাশ গজারিয়ায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন যুবতী এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া মজলুম জালিম হচ্ছে, ফ্যাসিবাদবিরোধীরা ফ্যাসিবাদী হচ্ছে: মাহফুজ আলম

রাজশাহীতে স্যাম্পল ওষুধের রমরমা ব্যবসা, ৩ ফার্মেসিকে জরিমানা

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ৯৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০

১১ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

রাজশাহী মহানগরীর লক্ষীপুরে চলছে স্যাম্পল ওষুধের রমরমা ব্যবসা।

অথচ উৎপাদনকারী কোম্পানির পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের বিনামূল্যে দেওয়া এসব ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। কিন্তু চিকিৎসকরা টাকার বিনিময়ে এসব ওষুধ ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন।

ফার্মেসি থেকে সেগুলো ক্রেতাদের কাছে বিক্রিও করা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই নগরীতে স্যাম্পল ওষুধের কেনাবেচা চলছে।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে লক্ষীপুর মোড়ের এমন ৩টি ওষুধের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ। ফার্মেসি তিনটিতে ডিবি পুলিশ অন্তত ৩০ লাখ টাকা মূল্যের স্যাম্পল ওষুধ খুঁজে পায়।

বিষয়টি জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আবু আহম্মাদ আল মামুন।

ফার্মেসি তিনটি হলো— মডার্ণ মার্কেটের আনোয়ারা ফার্মেসি, বিসমিল্লাহ ফার্মেসি এবং মা-বাবা ফার্মেসি। স্যাম্পল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আনোয়ারা ফার্মেসিকে ২৫ হাজার টাকা এবং অন্য দুটিকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করে। তবে কাউকে আটক করা হয়নি, ওষুধও জব্দ করা হয়নি। তবে ফার্মেসি মালিকরা যেসব স্থান থেকে ওষুধগুলো এনেছিলেন, সেখানেই ফেরত দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

অভিযান পরিচালনার সময় আনোয়ারা ফার্মেসি থেকে রাজশাহীর ৮০ জন চিকিৎসক ও দালালের নামের তালিকা পাওয়া গেছে। এই তালিকায় রাজশাহীর খ্যাতনামা অনেক চিকিৎসকের নাম রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এখন থেকে তাদের গোয়েন্দা নজরদারি করা হবে। যেসব দালালের নাম এসেছে তাদেরও নজরদারিতে রাখা হবে। আর এখন থেকে নিয়মিতই স্যাম্পল ওষুধের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

আনোয়ারা ফার্মেসির মালিক আহসান হাবিব নাজমুল বলেন, ‘চিকিৎসকরা ফোন করে তাদের বাসায় অথবা চেম্বারে ডেকে নেন। এরপর তাদের এসব ওষুধ দেওয়া হয়। আর দালালরা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষুধ এনে দেন। তারা ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ দামে ওষুধগুলো কেনেন।’

রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের উপ-কমিশনার আবু আহম্মাদ আল মামুন জানান, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের এগুলো দেন রোগীদের বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য। এসব ওষুধের প্যাকেটেই লেখা থাকে- ‘এগুলো স্যাম্পল। ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ’। কিন্তু অনেক চিকিৎসক এগুলো ফার্মেসিতে বিক্রি করে দেন। ফার্মেসি মালিকরা তখন এসব ওষুধ পুরনো প্যাকেটে ঢুকিয়ে বিক্রি করেন। এটি অপরাধ। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জনস্বার্থে অভিযানটি চালানো হয়েছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল-মারুফ জানান, স্যাম্পল ওষুধ ক্রয়-বিক্রয়ের অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে তিনটি ফার্মেসিকে ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কাউকে আটক করা হয়নি। ওষুধও বাজেয়াপ্ত করা হয়নি।

হাসান আল মারুফ বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা পথে বসে যাক এটা আমরা চাই না। কারণ, তারাও টাকা দিয়েই ওষুধগুলো কিনেছেন। আমরা তিন ব্যবসায়ীকে বলেছি- তারা যেখান থেকে ওষুধগুলো এনেছেন সেখানেই ফেরত দেবেন। এই ফেরত প্রক্রিয়াটা আমরা নিশ্চিত করব। তাহলে ব্যবসায়ীরাও টাকা ফেরত পাবেন এবং ওষুধগুলোও সাধারণ রোগীদের কাছে পৌঁছাবে।’


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন