৩০ নভেম্বর ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ দিচ্ছে চীন। স্থানীয়ভাবে ইয়ারলাং জ্যাংবো নামে পরিচিত এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ নদ ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ নির্মাণ করে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে চীন। এতে পানি সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতে।
এর অংশ হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুষ্পষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বেইজিংয়ের ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আগামী বছরের শুরুতেই এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এতে পানি সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতে। প্রভাব পড়ার আশঙ্কা বাংলাদেশেও।
চীন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ১৭৬০ মাইল দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র নদ। হিমালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে তিব্বতের ভেতর দিয়ে তা ব্রহ্মপুত্র নামে অরুণাচল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় দৈনিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, চীনের ১৪তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় আগামী বছর থেকে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে এ জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে।
পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশন অব চায়নার চেয়ারম্যান ইয়ান ঝিওং সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই নদীর তলদেশে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এর ফলে পানিসম্পদ এবং অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, ইতিহাসে সমান্তরাল কিছু নেই। এটি চীনা জলবিদ্যুৎ শিল্পের জন্য ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হবে। দেশের একাধিক অংশের পানি সরবরাহের উৎস ছাড়াও এ বাঁধ বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক সাহায্য করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পানিবণ্টন ব্যবস্থা ও জাতীয় সুরক্ষা বজায় রাখা যাবে।
তিনি জানান, বাঁধটি থেকে বছরে ছয় কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে, যা বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট কার্বনমুক্ত ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বছরে ৩০০ কোটি ডলার আয় হবে।
তিব্বতে এই নদীর ওপর বাঁধ দেয়ার সিদ্ধান্ত ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ভাটিতে পানির প্রবাহ কমে যাবে।
উদ্বেগের কারণ, বাঁধের কারণে শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কমে যেতে পারে। এতে একটি অংশের মানুষের জীবন ও জীববৈচিত্র্যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে পারে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।