২৪ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ
বগুড়ার শাজাহানপুরে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত স্কুলছাত্র সাব্বির হোসেনের (১৫) হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের পাশের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত সাব্বির হোসেন বগুড়া কাহালু উপজেলার জামগ্রামের গোলাম রব্বানীর ছেলে এবং জামগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, সাব্বিরের বাবা গোলাম রব্বানী পেশায় ইজিবাইক চালক। তিনি অসুস্থ থাকায় সাব্বির বাবার ইজিবাইকটি চালাতো। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাব্বির ইজিবাইক নিয়ে জামগ্রাম বাজারে যায়। এরপর রাতে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সাব্বিরের বাবা পরদিন বুধবার ছেলে নিখোঁজের ব্যাপারে কাহালু থানায় জিডি করেন। ওই রাতেই অজ্ঞাত এক ব্যক্তি গোলাম রব্বানীর কাছে মোবাইল ফোনে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এক পর্যায় অজ্ঞাত ব্যক্তি গোলাম রব্বানীকে জানায় ২ লাখ টাকা দিলে তার ছেলেকে জীবিত ফেরত দেওয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম-ডেসমা সড়কে জগন্নাথপুর গ্রামের পাশের মাঠে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পান গ্রামের লোকজন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে মরদেহ উদ্ধার করে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
সাব্বিরের বাবা গোলাম রব্বানী জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনজন যাত্রী নিয়ে জামগ্রাম বাজার থেকে গ্রামের রাস্তায় যায় সাব্বির। এরপর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি তাৎক্ষণিক কাহালু থানা পুলিশকে জানানো হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার মরদেহ উদ্ধারের পরেও অপহরণকারী চক্র মোবাইল ফোনে গোলাম রব্বানীর কাছে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারী চক্র চালককে হত্যা করে তার ইজিবাইক নিয়ে গেছে। মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টির সূত্র ধরে পুলিশ ওই চক্রকে শনাক্ত করতে তৎপরতা চালাচ্ছে।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।