১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ইং, বিন্দুবাংলা টিভি ডটকম,
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌর সদরের দোনারচর ২০ শয্যা হাসপাতালটি নানা সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যার যেন শেষ নেই। এ হাসপাতালটি ২০১৬ সালে মার্চ মাসে বিএনপি জোট সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন উদ্বোধন করেছেন। পরে তা নানান সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে গেলে পরবর্তীতে মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রী শেখ সেলিম পুনরায় দ্বিতীয়বার উদ্বোধন করেছেন। এলাকাবাসী ভেবেছিলেন হাসপাতাল টি এবার আলোর মুখ দেখবে। স্বাস্থ্যসেবা পাবে নির্বিঘ্নে। যে লাউ সেই কদু। কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে আউটডোর। ২০শয্যা এ সরকারি হাসপাতালের ইনডোরের সকল ব্যবস্থা থাকলেও সমস্যার কারণে চালু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্যাথলোজি বিভাগ, আল্ট্রা, এক্স সহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরিক্ষা বন্ধ থাকায় মেশিন পত্র প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।সরেজমিনে দেখা যায় পুরো হাসপাতালে মাত্র ৪টি রুমে বিদ্যুৎ রয়েছে, অন্য কোন রুমে বিদ্যু নেই, নেই পানি, বেশ কয়েকটি দরজা জানালা ভাঙা ছাড়াও বেশির ভাগই বেসিন , ওয়াশরুম গুলি ব্যবহারের অনোপযোগী হয়ে রয়েছে। রয়েছে ডা. ছাড়াও অন্যান্য পদের জনবল সংকট। মাত্র ৪জন ডা. দ্বারা কোনোরকম জোড়া তালি দিয়ে আউডডোর চালু রাখা হয়েছে। ২০ শয্যা হাসপাতালের অফিস সহকারী নেছার উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে এ হাসপাতালে আগুন লেগেছিলো। আগুন লাগার কারণে বেশ কিছু দরজা, জানালা ও হাসপাতালের প্রয়োজনীয় জিনিস ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। এগুলো এখনো মেরামত করা হয়নি। দাউদকান্দি সদরে অবস্থিত একমাত্র এটি সরকারি হাসপাতাল। এ হাসাতালে প্রতিদিনই শত শত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে এসে সেবা পাচ্ছেন না। দাউদকান্দি সদরে দিনের বেলার পরিবর্তে রাতের বেলা কোন ধরনের দূর্ঘটনা ঘটলে বেসরকারি হাসপাতাল বা ১০-১২ কিলোমিটার দূরে অন্য আরেকটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। জানাযায়, ইনডোর সেবা চালু করতে হলে প্রথমে হাসপাতালের অবকাঠামো সংস্কার, ডা. সংকট নেই ভর্তিকৃত রোগীর জন্য আবাসিক বা সিটের ব্যবস্থা এছাড়া রয়েছে পানি, বিদ্যুতের সংকট। হাসপাতালের আবাসিক ডা. হোসনেয়ারা বলেছেন, নানা সংকটের পরও আমরা নিয়মিত সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। এ হাসপাতালে আমরা মাত্র ৪জন ডা. রয়েছি। প্রতিদিনই ১৫০ থেকে ১৬০জন রোগীর সেবা নিতে এসে থাকেন। দোনারচর ২০ শয্যা হাসপাতালের ইনচার্জ ডা. আকিফা সুলতানা বলেছেন, হাসপাতালে ওষুধের কোন সংকট নেই। প্রায় সকল রোগেরই ঔষধ রয়েছে। হাসপাতালে পানিও বিদ্যুৎ, সংকট ছাড়াও হাসপাতালের মূল ভবনের অনেকগুলো দরজা, জানালা ভাঙা ছাড়াও বেসিন এবং ওয়াশরুমগুলি ব্যবহারের অনপোযোগী। এগুলো ঠিকঠাক করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা পত্র প্রেরণ করেছি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।