• সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
যাত্রী বেশে ট্রলারে উঠে অপহরণকারীরা, দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি — পরে মিলল লাশ গজারিয়ায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন যুবতী এভারকেয়ারে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া মজলুম জালিম হচ্ছে, ফ্যাসিবাদবিরোধীরা ফ্যাসিবাদী হচ্ছে: মাহফুজ আলম হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমা হকের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার গ্রামীণ জনপদের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সুবিধা ও জবাবদিহি বাড়াতে হবে আইন সহায়তা কেন্দ্র আসক ও মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন সিলেটে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত ক্ষমতা বা আসন ভাগাভাগির ভিত্তিতে সমঝোতায় যাবে না এনসিপি : নাহিদ ইসলাম নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা খারাপ হওয়ার শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পুলিশকে বোকা বানিয়ে ৩ নামে ৩ বার কারাগারে তরুণ

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ডেস্ক রিপোর্ট :

পুলিশকে বোকা বানিয়ে একবার-দুবার নয়, তিন-তিনবার পৃথক তিন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে গেছেন এক তরুণ। প্রতিবারই ভিন্ন নাম-ঠিকানা দিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ গত ২৯ জানুয়ারি কারাগারে গিয়েছিলেন। কিন্তু একই ব্যক্তির প্রতিবারই নাম-ঠিকানায় গরমিল হওয়ায় চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানিয়েছে। যুগান্তর

আদালত গত বৃহস্পতিবার তার প্রকৃত পরিচয় বের করতে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

 

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, কারাগারে নতুন বন্দি এলে তার আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রে দেওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হতে হয়। আঙুলের ছাপে উঠে আসে ওই আসামি কারাগারে

তিনবার এসেছেন ভিন্ন ভিন্ন নামে। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তার আসল পরিচয় জানা যায়নি। বিষয়টি কারা কর্তৃপক্ষ ৩০ জানুয়ারি আদালতকে লিখিতভাবে জানায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেব কারাগার থেকে পাঠানো চিঠিটি পেয়ে নগরের ইপিজেড থানা পুলিশকে সঠিক নাম-ঠিকানা তদন্তের নির্দেশ দেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর দেখা যায়, আসামি তিনবার তিনটি মামলায় কারাগারে এসেছেন। তিনি প্রথমবার শুভ দাস, দ্বিতীয়বার রিয়াদ ও তৃতীয়বার সাকিব পরিচয়ে কারাগারে আসেন। বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে।

পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, নগরের ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তিনজনকে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে ইপিজেড থানা পুলিশ।

ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আরও ১২ থেকে ১৩ জন। এ ঘটনায় করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইপিজেড থানার এইআই কামাল হোসেন জানতে পারেন যে ২২ বছর বয়সি এক তরুণ এ ঘটনায় জড়িত। ২৯ জানুয়ারি তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। গ্রেফতারের পর ওই তরুণ পুলিশকে নিজের নাম বলেন সাকিব। আর ঠিকানা দেন নগরের বন্দর থানার বারিক বিল্ডিং মোড় এলাকা।

জানতে চাইলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ইপিজেড থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, গ্রেফতারের পর আসামি নিজেকে সাকিব পরিচয় দিয়ে যে নাম-ঠিকানা বলেছেন, তা সঠিক নয় বলে পরে তদন্ত করে জানা গেছে। এ জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

ইপিজেড থানার মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর আঙুলের ছাপে উঠে আসে যে ২২ বছর বয়সি ওই তরুণ এর আগে দুই দফায় দুই মামলায় কারাগারে এসেছিলেন।

কর্তৃপক্ষ চিঠিতে আদালতকে জানান, শেষ ২৯ জানুয়ারি আসার আগে গত বছরের ২৭ জুলাই নগরের পতেঙ্গা থানার বৈদ্যুতিক তার চুরির মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে এসেছিলেন ২২ বছর বয়সি ওই তরুণ।

তখন তিনি নিজেকে পতেঙ্গার শাহাদাত কলোনির দিদার আলমের ছেলে মো. রিয়াদ বলে পরিচয় দেন। দুই মাস কারাভোগের পর ওই বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। এর আগে নগরের পতেঙ্গা থানার একটি মাদকের মামলায় ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কারাগারে এসেছিলেন ওই একই তরুণ। তখন তিনি নিজেকে কিশোরগঞ্জের নিতাই দাসের ছেলে শুভ দাস বলে পরিচয় দেন। ওই বছরের ২০ জুলাই তিনি জামিনে মুক্তি পান। বর্তমানে ওই মামলা দুটি বিচারাধীন।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন