মেঘনা প্রতিনিধি।।
মেঘনা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের তালতলী এলাকার নারী প্রতিবন্ধীব্যক্তির পেটে নস্ট করে দেওয়া ৬ মাসের মৃত ছেলে বাচ্চা গর্ভপাতের পর কবর দেওয়া হয়েছে, সেই কবর পাহারায় আছেন মেঘনা থানা পুলিশ। বিষয়টি আজ শনিবার (১০ফেব্রুয়ারি) আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মেঘনা থানা পরিদর্শক মুহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। ওসি বলেন মরদেহটি ময়নাতদন্তের পূর্বে কবর থেকে চুরি হওয়ার আশংকা রয়েছে তাই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।আগামীকাল রোববার ময়নাতদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলনের জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করা হবে।এজাহার সূত্রে জানা যায় কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আষিশ কুমার আচার্য্য (৪০) নারী মানসিক প্রতিবন্ধীব্যক্তিকে ঝরিনা বেগমের (৪২)সহায়তায় ইউনিয়ন পরিষদের দোতলায় নিজ কক্ষে জোরপূর্বক কয়েক দফা ধর্ষণ করে গত ৬ জুন থেকে ৬ জুলাইয়ের মধ্যে, ফলে প্রতিবন্ধীব্যক্তি গর্ভবতী হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি পেটে ব্যথা হলে এবং তার আচার আচরন গর্ভবর্তী মনে হওয়ায় বাদী তার ধর্ষিতা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে বলেন আমি ঝরিনাকে অবগত করলে তিনি সচিব থেকে দুই শত টাকা এনে দিয়ে ট্যাবলেট খেয়ে নষ্ট করে দিতে বলেন এছাড়া যা যা ঘটে পুরো ঘটনা বলেন । পরবর্তীতে তাকে পেটে ব্যাথা অবস্থায় ঢাকা মাতুয়াইল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা চলমান অবস্থায় অনুমান ৬ মাসের একটি মৃত ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। সেই অভিযোগে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও এলাকার ও রাধানগর ইউপি সচিব আষিশ কুমার আচার্য্য (৪০) সহ ধর্ষণে সহায়তা করা নারী তালতলী এলাকার ঝরিনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী প্রতিবন্ধীব্যক্তির বাবা জীবন মিয়া গত ৯ ফেব্রুয়ারী বাদী হয়ে মেঘনা থানায় দুই জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করে। একই তারিখে আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।