• শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৬ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

জনাকীর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনে চলছে কার্যক্রম

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ২২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

 

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় ১১টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে নদীর তীরে অবস্থিত ‘বাগ বাজার কমিউনিটি ক্লিনিক’। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম। ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় দেখা গেলেও স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম চলমান। যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলে এলাকাবাসী ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা নিতে রীতিমতো ভয় পাচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০০০ সালে এ ভবনটি নির্মিত হলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে কয়েক বছর যেতে না যেতেই পলেস্তারা খসে পড়ে বেড়িয়ে এসেছে ইট, দেখা দিয়েছে মূল ভবনের বিভিন্ন স্থানে ফাটল। সামান্য বৃষ্টি হলেই টিপ-টিপ করে পানি পড়ে তলিয়ে যায় ক্লিনিকের কক্ষ। ভবনটিতে নেই কোনো ভালো দরজা-জানালা, নেই কোনো ফার্নিচার ও অন্যন্য আসবাবপত্র। ফার্নিচার না থাকায় ঔষধের কাঠনেই রাখা হয় প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র। প্রায় একযুগ ধরে এ জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। এই কমিউনিটি ক্লিনিকে নেই কোনো বিদ্যুৎ সংযোগ, নেই কোনো সড়ক সংযোগ। সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে এই ক্লিনিকের চতুর্পাশে পানি এলে রোগী ও স্বজনদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয় এমনটা জানিয়েছে এলাকাবাসী।

বাগ বাজারের ‘কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মো. জামান মিয়া জানান, এই ক্লিনিকের অবস্থা খুবই নাজুক,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হয়। ফার্নিচার নেই, সংযোগ সড়ক ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয় টি অবহিত করেছি ।
তিনি আরও জানান- এই ক্লিনিকে প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ ‘এফডাব্লিও’ পদটি শূন্য হয়ে আছে। বর্তমানে আমি ও স্বাস্থ্য সহকারী আবু বক্কর সিদ্দিকসহ এই দু’জনে নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি। চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের কাছে এই ক্লিনিকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ইউনিয়নের ২টি ক্লিনিকের মধ্যে বাগ বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। সংযোগ সড়ক না থাকায় আমি বর্ষাকালে পানি উঠলে বাঁশের সাঁকো করে দেই যেন রোগিদের স্বাস্থ্যসেবা নিতে অসুবিধা না হয়। তবে সংযোগ সড়ক ও বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি খুব শিগগিরই এর ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হবো।এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়মা রহমান  বলেন, এ উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনগুলো নতুন করে পুনর্নির্মাণের জন্য স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে বাগ বাজারসহ অন্যন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন- সংযোগ সড়ক ও বিদ্যুৎ সংযোগ এর বিষয়ে নতুন ভবন করার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন