• বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৮ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় মাদক–জুয়ার দৌরাত্ম্যে জনজীবন বিপর্যস্ত দুদকের তিন অভিযানে অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ ইমু–ফেসবুক ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল: তিতাসে যুবক গ্রেফতার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপদেষ্টাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার নৈতিক ভিত্তি নেই : নাজমুল হাসান মেঘনা উপজেলা বিএনপির চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা মেঘনায় চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী’ পুরস্কার আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবসে প্রশাসনের মানববন্ধন চতুর্মুখী স্বরযন্ত্রে বিপর্যস্ত মেঘনা বিএনপি দাউদকান্দি বাজার বড় মসজিদে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ক্ষমতার অপব্যবহারে আর্থিক ক্ষতি, কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪

 

বিপ্লব সিকদার।।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তিনি গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা, উপ পরিচালক মোঃ আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন