September 16, 2025, 7:48 pm
সর্বশেষ:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে মাদকসহ ৪ ব্যক্তি গ্রেপ্তার ক্রীড়া, স্বাস্থ্য ও কৃষি গবেষণায় অনিয়ম: তিন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান অবশেষে দুদক চিনেছে মেঘনা উপজেলা: জনমনে স্বস্তি, অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান মেঘনা সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দুদকের ছদ্মবেশী অভিযান:অনিয়মের সত্যতা মিলেছে মেঘনায় কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের ভূমিকা জোরালো করতে হবে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আজ সুসংগঠিত ও গতিশীল একটি কাঠামো রুপে নবাবগঞ্জে সেতু নির্মাণে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক মেঘনায় কুমিল্লা-১ আসনে পূর্ণাঙ্গ গ্যাজেট প্রকাশে আনন্দ উদযাপন গুলশানে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ জীবন তৃষ্ণা ও ফুরিয়ে যাওয়া দিন

ক্ষমতার অপব্যবহারে আর্থিক ক্ষতি, কাস্টমস কমিশনারের বিরুদ্ধে মামলা

 

বিপ্লব সিকদার।।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে আইন বহির্ভূতভাবে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তিনি গ্রামীণ ফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল লিমিটেডকে ওই সুবিধা দিয়েছিলেন।কাস্টমস কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে অবসরে যান। বর্তমানে তিনি পিআরএলে রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১জুন) সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা, উপ পরিচালক মোঃ আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চারটি প্রতিষ্ঠানের স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায় তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলো বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা পরিশোধ করার কথা বলে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত কর মেয়াদে তা পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন ১৯৯১ এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতি দ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। সুদ হিসাবে সরকারের পাওনা অর্থের মধ্যে গ্রামীণ ফোন লিমিটেডের কাছে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনের কাছে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১ টাকা, রবি আজিয়াটার কাছে ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং এয়ারটেল বাংলাদেশের কাছে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকা রয়েছে। পরবর্তীকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৩ থেকে ৫ মাস পর ভিন্ন আদেশে ওই সুদ মওকুফ করে দেন ওয়াহিদা রহমান।

এনবিআর সদস্য হোসেন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিমের প্রতিবেদনেও এর সত্যতা পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা