উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুর রহমান বলেন, আমি প্রায় ১৫ দিন হলো এই উপজেলায় আসছি। যদি পুরাতন হতাম তাহলে এর দায়ভার আমিও নিতাম। তবে এর জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা অবশ্যই দায়ী। তাদের কারণেই আজ শিক্ষার্থীরা আপত্তিকর আড্ডায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমি এই শিক্ষার্থীদের অপকর্মের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেই সাথে পড়াশোনার মানোন্নয়নে আপনাদের তথা মেঘনাবাসির সহযোগিতা কামনা করছি।
মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা নজরদারি রাখব যেন শিক্ষার্থীরা ক্লাস ছেড়ে কোনোভাবেই রেষ্টুরেন্ট বা নির্জন কোনো স্থানে আড্ডা দিতে না পারে। আর রেষ্টুরেন্ট গুলোকে সতর্ক করে দিয়ে আসবো যেন ভবিষ্যতে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় রেষ্টুরেন্টে তাদের ঢুকতে না দেওয়া হয়। যদি পরবর্তীতে একই অভিযোগ আমাদের নিকট আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
মেঘনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস বলেন, এখন স্কুল কলেজ বন্ধ। ঈদের পরে খুললে এ অবক্ষয়টি দূর করার জন্য আমরা একটা অভিভাবক সমাবেশ ডাকবো।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, এই সমস্ত অপরাধের তথ্য প্রমাণাদি আমার কাছে দিন। আমি যেভাবে পারি এর সমাধান দেবো। এমনকি ক্লাস চলাকালীন সময়ে রেষ্টুরেন্ট তো দূরের কথা বাজারেও যেন ঢুকতে না পারে বাজারের আশপাশের প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোর ভাবে নির্দেশ দিয়ে আসবো।