November 23, 2024, 3:14 pm

ডা. সাবরিনাসহ ৭ জনের নামে দুদকের মামলা

 

বিপ্লব সিকদার।।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এর কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সাবেক রেজিস্ট্রার ডা. সাবরিনা হুসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দন্ডবিধি’র ১৬৮/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। আজ বুধবার (১০ জুলাই) দুদক সজেকা, ঢাকা -১ এর সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন। দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আসামীরা হলেন (১) ডা. সাবরিনা শারমিন হুসেন, পিতা-সৈয়দ মুশাররফ হুসেন, বিএমডিসি রেজি. নম্বর-৩২৩৭১, রেজিস্ট্রার, কার্ডিও সার্জারি বিভাগ, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, ঢাকা; (২) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা; (৩) আরিফুল চৌধুরী (৪০), ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেকেজি হেলথ কেয়ার, ঢাকা; (৪) আ.স.ম সাঈদ চৌধুরী (৪৭), ষ্টাফ, জেকেজি হেলথ কেয়ার, ঢাকা; (৫) হুমায়ুন কবির ওরফে হিমু (৩৪), ষ্টাফ, জেকেজি হেলথ কেয়ার, ঢাকা; (৬) তানজিনা পাটোয়ারী (২৫),ষ্টাফ, জেকেজি হেলথ কেয়ার, ঢাকা; (৭) জেবুন্নেসা রিমা, স্বত্ত্বাধিকারী: জেকেজি হেলথ কেয়ার, ঢাকা;।আসামীগন সরকারী কর্মচারী হিসেবে কর্মরত থেকে অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাল জালিয়াতি ও প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫,৪৬০ টি) প্রস্তুত করতঃ তা সংশ্লিষ্ট সেবা গ্রহীতাদের নিকট সরবরাহ করে করোনা মহামারী সময়ে জীবন বিপন্নকারী রোগের সংক্রমণ বিস্তার ঘটিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় আসামী ডাঃ সাবরিনা শারমিন হুসেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এর কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যান্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেডলাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বিনামূল্যে বুথ থেকে করোনার স্যাম্পল কালেকশনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নিয়ে বুথ থেকে স্যাম্পল কালেকশন না করে আসামী ডা: সাবরিনা শারমিন হুসেন ও তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর নির্দেশে তার অফিসের কর্মীগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে টেষ্ট ফি হিসেবে প্রতিটি টেষ্টের জন্য আনুমানিক ৫হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা গ্রহণ করে তা যথাযথ ভাবে পরীক্ষা না করে ভুয়া ও জাল রিপোর্ট (আনুমানিক ১৫,হাজার ৪শত ৬০ টি) প্রস্তুত করতঃ তা সেবা গ্রহীতাদের নিকট সরবরাহ করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ পূর্বক আত্মসাৎ করেন। এছাড়া সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি এবং লকডাউন চলাকালীন বিগত ১ এপ্রিল ২০২০ হতে ৩০ জুন ২০২০ সময়ে লকডাউনের মধ্যে মাত্র ৩ মাসে ওভাল গ্রুপ এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভেলবিল সিকিউরিটি সার্ভিসেস প্রাইভেট লিঃ এর ব্যাংক একাউন্টসমূহে এক কোটি ষোল লক্ষ নব্বই হাজার সাত টাকা) জমা হয়েছে। যা করোনা টেষ্টের টাকা মর্মে প্রতিয়মান হয়। এছাড়া তিনি প্রতারণা ও জালিয়াতির উদ্দেশ্যে নিজের জন্মতারিখ পরিবর্তন করে দুটো সচল জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত করত: তা দিয়ে দুটো ভিন্ন টিআইএন নম্বর খুলেন এবং প্রকৃত জন্মতারিখ ১৯৭৮ কে ১৯৮৩ বানিয়ে তার কর্মস্থলে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে চাকুরির মেয়াদ ০৫ বছর পর্যন্ত বাড়িয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে সরকারি চাকুরীর সুযোগ-সুবিধা অবৈধভাবে গ্রহনের অপচেষ্টা করেছেন ।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা