বিপ্লব সিকদার।।
গণ অভ্যুত্থানের পর মেঘনা উপজেলাবাসী রাজনৈতিক দলে বিভক্তির ফলে অতি উত্তাপ অস্বস্তিকর ভাবে দেখছে। আওয়ামী লীগ আন্ডারগ্রাউন্ড এ, জামাত ইসলাম, হেফাজত, খেলাফত মজলিস,গণ অধিকার পরিষদ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যার যার কর্মসূচি পালন করে আসছে। তবে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদেরকে দুটি বলয়ে বিভক্ত করে ফেলেছে। যার প্রভাব স্বাভাবিক জীবন যাত্রায় সকল শ্রেনী পেশার মানুষ উদ্বিগ্ন! আজ মঙ্গলবার উপজেলা বিএনপির একই দিনে দুই গ্রুপের কর্মসূচি ডাকা হয়েছে। ফলে পুরো উপজেলা জুড়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি প্রস্তুতি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যার যার কর্মসূচি পালন করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দলের সাধারণ নেতাকর্মীসহ আমজনতার মধ্যে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসন দায়সারা ভাব নিয়ে আছে। যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেকোনো মুহূর্তে অবনতির আশঙ্কাও রয়েছে। বিএনপির প্রবীণ রাজনীতিক( নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেন বিএনপির গ্রুপিং টা দীর্ঘদিনের, তবে দের যুগ ধরে নিপীড়িত দলটি আজকের এইদিনে এমন মুখোমুখি অবস্থানে যাওয়াটা স্বাভাবিক মনে হচ্ছেনা। আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে বিএনপির দুটি গ্রুপকে মনে হয় আওয়ামী লীগের লোকজন বিএনপির দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতার সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশ করেছে।এই প্রবীণ রাজনীতিক মনে করেন দলের হাইকমান্ড খুব শিগগিরই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই কঠোর হস্তক্ষেপ করে সাংগঠনিক সু শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন অন্যথায় সকলকেই চরম মূল্য দিতে হবে। তৃণমুলের একাধিক কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যেহেতু সিনিয়র নেতারা ডাকেন তাই ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও যেতে হয়। আমরা দলে বিশৃঙ্খলা চাইনা। ত্যাগী কর্মীরা বলেন আমরা জাতীয়তাবাদ আদর্শে বিশ্বাসী অনেক চরাই উৎরাই পেরিয়ে ফ্যাসিবাদের রোষানল থেকে মুক্তি পেয়েছি। ভেবেছিলাম স্বস্তির নিঃশ্বাস নিব এভাবে চলতে থাকলে রাজনীতি থেকে বড় কষ্ট নিয়ে বিদায় নিতে হবে।বৃহত্তর দলটির কর্মকাণ্ড সহনশীল ও জনবান্ধন চায় সাধারণ মানুষ, উত্তাপ নয়।