May 21, 2025, 1:17 pm
সর্বশেষ:
৭ মাস বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ অভিযোগে সংগীতশিল্পী নোবেল গ্রেপ্তার বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’র কমিটি পুনর্গঠন: সভাপতি রিয়াজ, সম্পাদক নিজাম এখন আমরা বাঘের মুখে পড়েছি: মির্জা আব্বাস ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ :কমিশনের সুপারিশে গণমাধ্যমে বেশ কিছু সংস্কার উদ্যোগ: তথ্য উপদেষ্টা মেঘনায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা গজারিয়ায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকত গ্রেফতার কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ইশরাককে মেয়র পদে বসাতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম একটি বিশেষ পথচলার নাম অটিজম নির্বাচন পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : প্রেস সচিব

চিলমারীতে হস্তান্তরের আগেই ব্রহ্মপুত্রের পেটে যাচ্ছে আবাসন প্রকল্পের ঘর

 

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১০০ পরিবারের আশ্রয়ণের জন্য নির্মিত দীঘলকান্তি আবাসন প্রকল্পটি এখন ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের গর্ভে একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন পর্যন্ত আবাসন প্রকল্পটি হস্তান্তর করা হয়নি। তবে ৬০ থেকে ৭০টি পরিবার সেখানে বসবাস করছেন।

 

 

এ বিষয়ে অস্থায়ী বাসিন্দারা স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করেও কোনো সুরাহা পাননি। তবে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

 

 

জানা গেছে, ২০২২ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দীঘল কান্দি আশ্রয়ণ প্রকল্প খোদ্দবাশবাতার এলাকার ২০টি ব্যারাকে মোট ১০০ পরিবারের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১ শতটি ঘর নির্মাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় মাঠ ভরাটের কাজ করেন। প্রকল্পটি হস্তান্তর হতে না হতেই শুক্রবার রাতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে আবাসনের একটি ব্যারাকের ৫টি কক্ষ ভেঙে যায়। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা না নিলে পুরো আবাসন প্রকল্পটি বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

 

 

অষ্টমীর চর ইউনিয়নের খোদ্দবাঁশবাতার এলাকার আনিছুর রহমান, আমিনুল ইসলামসহ অনেকে বলেন, নদীভাঙন যদি না রোধ করা হয়, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে ঘরগুলো ভেঙে যাবে। তাই ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তাঁরা।

 

অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম রেজা বলেন, ২টি রুম নদীতে ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল গুলো সরিয়ে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।

 

অষ্টমীরচর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হালিম বলেন যেকোনো সময় আবাসনটি নদীতে ভেঙে যেতে পারে ৷ আমি খোঁজ নিয়েছি আবাসনে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইউএনও স্যারসহ পিআইও স্যারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

 

ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নঈম উদ্দীন জানান, ভাঙনের বিষয়টি আমি জেনেছি সেখানের গুরুত্বপূর্ণ মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তাদের জিও ব্যাগ বরাদ্দ নেই। যদি জিও ব্যাগ বরাদ্দ পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা