November 21, 2024, 3:14 am

১৩ হেভিওয়েটকে ট্রাইব্যুনালে হাজির

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা।।

ছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আজ সোমবার হাজির করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তাদের হাজির করা হয়।

যাদের হাজির করা হয়েছে তারা হলেন– সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ডা. দিপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম, আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীর, সাবেক জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক–ই ইলাহী চৌধুরী এবং সাবেক বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

 

এর আগে ২৭ অক্টোবর এসব মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে হাজিরের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিকে গ্রেপ্তার থাকা পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, সাবেক ঢাকা জেলা এসপি আব্দুল্লাহ হিল কাফী, সাভারের ওসি আবুল হাসান এবং পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম, আরাফাত হোসেনকে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে বলা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট ও ট্রাইব্যুনাল এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

 

এর আগে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছাড়ার পর আত্মগোপনে চলে যান দলের নেতা-কর্মীরা। পরে একে একে গ্রেপ্তার করা হয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তাকে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয় পৃথক মামলা।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা