নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বাসের ভেতরে ‘অজ্ঞানপার্টির’ খপ্পরে পড়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব দিলীপ কুমার দেবনাথ (৫৫)। মধ্যরাতে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করান।
আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (পিএসআই) শুকহরি মধু। তিনি বলেন, গত রাত দেড়টার দিকে তেজগাঁও শাহীন স্কুলের সামনে চেকপোস্ট ডিউটি করছিলেন তিনি। এ সময় হামজা এক্সপ্রেসের একটি বাস সেখানে এসে থামে এবং স্টাফরা তাকে জানান- বাসের মধ্যে এক ব্যক্তি অচেতন হয়ে বসে আছেন।
পরবর্তীতে বাসের স্টাফদের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসছিলেন। ঢাকার সায়েদাবাদে তাঁর নামার কথা ছিল। সায়েদাবাদে যখন বাসের সুপারভাইজার তাঁকে নামার জন্য ডাকাডাকি করেন, তখন থেকে তাঁর কোনো সাড়া-শব্দ পাননি। চট্টগ্রাম থেকে আসার পথে তাঁর পাশে আরও এক ব্যক্তি বসেছিলেন। যাকে দেখে মনে হয়েছিল তাঁদের মধ্যে কোনো পরিচয় রয়েছে। তবে সায়েদাবাদ আসার পরে পাশের ওই ব্যক্তিকে আর দেখা যায়নি বলে জানিয়েছেন বাসটির সুপারভাইজার।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ওই ব্যক্তির ব্যাগে একটি বাটন ফোন ও ভিজিটিং কার্ড ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মধ্যরাতেই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
উপপরিদর্শক বলেন, ভুক্তভোগী ব্যক্তির ব্যাগে থাকা ভিজিটিং কার্ডের সূত্র ধরে জানা যায়- তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হাসপাতালে আসেন। ভুক্তভোগীর স্ত্রীর কাছ থেকে জানা যায়, তাদের বাসা মিরপুরে। আর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরতে গিয়েছিলেন তার স্বামী। সেখান থেকেই গত রাতে ঢাকায় ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ছিল। সেটি আর পাওয়া যায়নি।
পুলিশের ধারণা- তিনি অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন। আর কী কী খোয়া গেছে, তাও জানা যায়নি।
এ দিকে হামজা এক্সপ্রেস বাসের সুপারভাইজার পারভেজ আহমেদ বলেন, ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তি ও তাঁর পাশের সিটে বসা অপর ব্যক্তি চট্টগ্রামের একই জায়গা থেকে উঠেছিলেন। বাসের মধ্যে তাঁরা খুবই জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন, গল্পগুজব করছিলেন। দেখে তাঁর মনে হয়েছিল তাঁরা পরিচিত বা বন্ধু। তারা দুজনই সায়েদাবাদ নামবেন বলেও জানিয়েছিলেন। তবে ঢাকায় ঢোকার আগে চিটাগং রোডে ওই ব্যক্তি বাস থেকে নেমে যান। পরে সায়েদাবাদ এসে নামার জন্য ডাকলে ভুক্তভোগীকে অচেতন অবস্থায় দেখা যায়।