মেঘনা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হ্যাপী দাস এর নিকট অঙ্গিকার পত্রে দস্তখত করেছেন বালু উত্তোলনকারীরা। অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার প্রেক্ষিতে নলচর এলাকার মাহবুবা ইসলাম, এলাকাবাসীর প্রশাসনের নিকট আবেদনসহ গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ, এলাকার ছাত্র জনতার আন্দোলন বেগবান হওয়ার পর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচনার ঝর উঠলে ইউএনও আলোচনা করে বালু উত্তোলন বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ইউএনও’র অফিসে ডেকে আনা হয়। সেখানে তাদের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারপত্র নেওয়া হয়, যাতে তারা ভবিষ্যতে আর এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমে জড়িত না হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে মুসলিমা, মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল, চালিভাঙ্গা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আজমগীর হোসাইন, স্থানীয় ছাত্র প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে ইউএনও হ্যাপী দাস বলেন, মেঘনা নদীর পরিবেশ সুরক্ষিত রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে শুধু নদীর ক্ষতি হয় না, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকাও হুমকির মুখে পড়ে। আমরা নিশ্চিত করব, ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ বন্ধ থাকে। উল্লেখ্য গত ৫ আগষ্টের পর স্থানীয় কিছু ব্যক্তি বালু উত্তোলন করার ফলে সাধারণ মানুষের ঘর বাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়। যৌথ বাহিনীসহ স্থানীয় প্রশাসন একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন। সম্প্রতি প্রতিবাদী ছাত্র জনতাকে দমিয়ে দিতে একটি মিথ্যা মামলা করা হয় এতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক,কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, নাজমুল হাসান স্থানীয় জনগণের সাথে আন্দোলনে শামিল হোন,প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা চালায়।