নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আগামী শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া সহ জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। উপজেলার মানিকার এল এল মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কে হবে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে চলছে সারা উপজেলায় জল্পনা কল্পনা। উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে বিএনপির ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। কমিটিতে ত্যাগিদের নাম না থাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জোর সমালোচনা হচ্ছে। সরাসরি আওয়ামী ফ্যাসিস্টরাও কমিটিতে রয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। তবে আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে বিএনপির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছেন। কাউন্সিল ঘিরে উপজেলা জুড়ে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। অপরদিকে সভাপতি -সাধারন সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী থাকায় গ্রুপিং লবিং ও চাপা উত্তেজনা চলছে নেতাকর্মীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া সহ নেতাকর্মীদের নিয়ে মঞ্চ পরিদর্শন ও দেখভাল করছেন একাধিকবার। জানা যায় সভাপতি পদে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল অদুদ মুন্সি ও সদস্য সচিব আজহারুল হক শাহিন দুই জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি জালাল আহমেদ জামান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহাবুদ্দিন, আব্দুল মতিন,জহিরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্ভর যোগ্য সূত্র জানায় জালাল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার জন্য দফায় দফায় আলোচনা চলছে। অন্যদিকে সভাপতি পদেও সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কোন পদে সমঝোতা না হলে হতে পারে ভোট। শান্তি পূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে কাউন্সিল চায় তৃণমূল কর্মীরা। উপজেলা বিএনপির সিনিয়র অনেক নেতা কাউন্সিলের বাহিরে রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রমিজ উদ্দিন লন্ডনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা যুগ্ম আহবায়ক দিলারা শিরিন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে রমিজ উদ্দিন লন্ডনীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার অভিযোগে যুগ্ম আহবায়ক আবু ইউসুফ নয়ন, শহিদুল ইসলামকেও বহিষ্কার করার ফলে দলের বড় একটি অংশ সম্মেলনে যোগ দিতে পারছেনা। সবকিছু মিলিয়ে একটি ধূম্রজাল তৈরি হয়েছে। এতকিছুর পরেও ধারণা করা হয়েছে ৭ হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিটি গ্রামে এখন বিএনপির বাধ ভাংগা জোয়ারের মত কর্মী বেড়ে গেছে ৫ আগষ্টের পর থেকে। সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অনেক ফ্যাসিবাদও ঠাই করে নিয়েছেন বিভিন্ন কমিটিতে অন্যদিকে ত্যাগীরা বাদ পরে গেছে। উপজেলার এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদককে বলেন বিএনপি এখন জনপ্রিয়তায় তুঙ্গে উপজেলা কমিটি হলে আমরা বাছাই করে ত্যাগীদের মূল্যায়ন এবং হাইব্রিড, ফ্যাসিস্ট, নতুন যারা ঢুকেছে তাদের বাছাই করে দলকে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে ঢেলে সাজানো হবে। ইতিমধ্যে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। কে হবেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এ নিয়ে উপজেলার সকল অংশীজন ও সাধারণ মানুষ চায়ের দোকান, হাট মাঠে এ নিয়েই জল্পনা কল্পনা চলছে। অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়ারা নিজ উপজেলার কাউন্সিল কিভাবে হচ্ছে, কেমন হবে, কারা নেতৃত্বে আসছে তা নিয়েও সচেতন মহল নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছেন। এই প্রতিবেদক কয়েক জন প্রবীণ রাজনীতিকের সাথে কথা বললে তারা জানায় সিনিয়রদের পাশাপাশি অনেক মধ্য শারীর নেতা রয়েছে যারা দীর্ঘদিন যাবত ক্লিন ইমেজের রাজনীতি করছেন, এমন অনেক কর্মী আছে বয়স কম কিন্তু সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন সহ রয়েছে ক্লিন ইমেজে তাদের সমন্বয় করে ভালো দায়িত্ব দিতে হবে। তাদের শক্তিও দক্ষতা যদি সংগঠনে কাজে লাগানো যায় তাহলে বিএনপি আরও সু সংগঠিত হবে। কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, উত্তর জেলার সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতারা আসার কথা রয়েছে।