August 24, 2025, 8:40 am
সর্বশেষ:
স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে সবচেয়ে বড় বাধা মহাসড়কে অপরিকল্পিত ইউ-টার্ন: দুর্ঘটনার বড় কারণ জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কোনো ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সরকার হুকুমমতো কাজ করাতে চাইলে চেয়ারে থাকব না : সিইসি কুমিল্লার আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া গ্যাজেট নিয়ে গণশুনানি: উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান মাওয়া পদ্মার পারে যুবদল–ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের ইলিশ ভোজ স্থানীয় স্বঘোষিত ন্যায়পাল ও সমাজে বিচারব্যবস্থার স্বচ্ছতার অভাব মেঘনা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সাত-আটজন পালালেও ধরা পড়লো এক চাঁদাবাজ তৃণমূলের নেতৃত্বে স্থবিরতা: গণতন্ত্র ও নতুন নেতৃত্ব তৈরির সংকট

মেঘনায় খাল খননের অভাবে পানি সংকট, কয়েক শত বিঘা ফসলী জমি অনাবাদির শঙ্কা

মেঘনা প্রতিনিধি।।

কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার গোবিন্দ পুর ইউনিয়নের বিনোদ পুর গ্রামের পশ্চিম পাশ দিয়ে কাঠালিয়া নদী থেকে সৃষ্ট খাল করিমাবাদ – হিজলতলী হয়ে দক্ষিন কান্দি ব্রিজের নিচ দিয়ে সেননগর বাজার পর্যন্ত খরস্রোতা খালটি কালের বিবর্তনে খননের অভাবে পানি সংকট দেখা দিয়েছে। চৈত্র – বৈশাখ মাসে নদী থেকে খালে পানি প্রবেশ করতো আবার বর্ষা মৌসুম বিদায় নিলেও পানি আশা যাওয়া করতো। এই খালের পাশেই দড়িকান্দি গ্রামের পূর্ব পাশে ঐতিহ্যবাহী একটি বিশাল বিল ছিল। সেই বিলে দড়িকান্দি, দক্ষিণ কান্দি গ্রামের কৃষকেররা ইরি ধান চাষ করতো। স্বল্প খরচে উর্বর ভূমিতে অধিক ফসল হতো। সরেজমিনে দেখা যায় পানি সংকটের কারণে এখন আর আগের মত ফসল হয়না। ইরি বিজ তলা (জালা) লাগানোর সাথে সাথে পানি সংকটের কারণে ফলন ভালো না হওয়ায় কয়েকশত বিঘা জমিতে ফসল ফলানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে সেচ দিয়ে ফসল ফলিয়ে কৃষকের খরচের টাকা উঠানো প্রায় অসম্ভব। অন্তত ৩০০ মিটার খাল খনন করতে পারলে পানির সঙ্কট কমে আসবে। উর্বর বিলে স্বল্প খরচে ধান চাষ করতে পারবে। কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন দক্ষিণ কান্দি ব্রিজের নিচ দিয়ে খনন করে পানি আসার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে শত শত কৃষক এই বিলে ধান চাষ করে আগের মত ফসল ফলাতে পারতো। পানি সঙ্কটের কারনে বিল শুকিয়ে পলি পরে উচু জমিতে পরিনত হয়েছে। সাধারণ কৃষক স্থানীয় প্রশাসনের নিকট বিনয়ের সাথে বলেন স্বল্প পরিসরে খাল খনন করে পানির গতি প্রবাহ স্বাভাবিক করা যায় ঐতিহাসিক বিলটি প্রান ফিরে পাবে। কৃষকের মুখে হাসি ফোটবে। বর্ষায় দেশীয় প্রজাতির মাছের অভয়াশ্রম হবে। কৃষক হালিম জানান ৫ শ ফুট দৈর্ঘ্য খাল খনন করলেই স্বাভাবিক পানি বিলে প্রবেশ করবে। এতে পূর্বের ন্যায় স্বল্প খরচে বিঘা প্রতি জমিতে ৩৫ মন ধান উৎপাদন সম্ভব। কর্তৃপক্ষের নিকট খাল খনন করার জোর দাবি জানান সাধারণ কৃষক।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।


ফেসবুকে আমরা