নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করায় সাংবাদিককে হুমকি, দুর্ব্যবহার এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে। সূত্র : সময় টিভি।
পিআইও শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ করেছেন দৈনিক সমকাল পত্রিকার হোমনা ও মেঘনা প্রতিনিধি জুনায়েদ আহমেদ।
জানা যায়, সাংবাদিক জুনায়েদ আহমেদ তিতাস ২০২৪–২৫ অর্থবছরের বিভিন্ন প্রকল্পের বাজেট ও ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর তথ্য অধিকার আইনে দরখাস্ত জমা দেন। ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা তা দফতরের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে পিআইও শফিকুল ইসলামের কাছে পাঠান। আবেদনটি সরাসরি সাংবাদিকের সামনেই শফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেন ওই কর্মকর্তা।
তবে রিসিভ কপি চাইতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। অভিযোগ অনুযায়ী, পিআইও শফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন, ‘তুই বেশি জানিস, তোকে এখনই পুলিশে দিচ্ছি।’ এক পর্যায়ে সাংবাদিকের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।’
ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন কবি দেলোয়ার। তিনি বলেন, আমি নিজের চোখে দেখেছি কীভাবে জুনায়েদকে হেনস্তা করা হয়েছে। এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এক জন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার হতে পারে— ভাবতেই ভয় লাগে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ক্ষেমালিকা চাকমাকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। পিআইও শফিকুল ইসলামকেও একাধিকবার ফোন দেয়া হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের ভাষ্য, একজন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার, বিশেষ করে তথ্য অধিকার আইনের মতো স্পষ্ট আইনি বিষয় নিয়ে যদি সরকারি কর্মকর্তারা এমন আচরণ করেন, তবে মাঠ প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন হোমনার সাংবাদিকরা। এদিকে ঘটনার পর ফেসবুকে পিআইও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।