নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া উপজেলার আনারপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন টার্নিং পয়েন্টটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যবস্থাপনার শিকার। অপরিকল্পিত নির্মাণ ও যানবাহনের অসচেতন গতিবিধির কারণে এ মোড়টি প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে ঘটছে ছোট-বড় সড়ক দুর্ঘটনা, যার ফলে আতঙ্কিত এলাকাবাসী ও পথচারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনারপুর মোড়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেখানে নেই কোনো ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, নেই স্পষ্ট সড়ক চিহ্ন, নেই যথাযথ গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। তীব্র যানচাপ ও বেপরোয়া চালকদের কারণে এই মোড় দিয়ে চলাচল করা এখন মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে পথচলার সমান।
আনারপুর বাজারের পাশে থাকা দোকানদার শহিদুল ইসলাম (ছদ্ধ নাম) বলেন,
“প্রতিদিন কোনো না কোনো যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ বা উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটেই। অনেক সময় হতাহতের ঘটনাও ঘটে। অথচ কেউ এর সুষ্ঠু সমাধানে এগিয়ে আসে না।”
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, মহাসড়কের এ মোড়ে কোনো গতি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকায় অতিরিক্ত গতিতে চলা যানবাহন বাঁক নিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারায়। এছাড়া অন্ধকারে মোড়টি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে, কারণ সেখানে নেই কোনো সড়কবাতি বা প্রতিফলক সংকেত।
প্রতিকার চেয়ে জনমত জোরালো হচ্ছে
অবিলম্বে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে সমস্যাটির সমাধান দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের প্রস্তাব:
টার্নিং পয়েন্টটি পুনঃনির্মাণ করে প্রশস্ত ও নিরাপদ করা
স্পিড ব্রেকার, সংকেত চিহ্ন ও প্রতিফলক বসানো
সিসিটিভি ক্যামেরা ও ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করা
বিকল্প ইউ-টার্ন নির্মাণ করে চাপ কমানো
স্থানীয় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালু
পরিশেষে বলা যায় এই সড়কটি দেশের অন্যতম ব্যস্ত মহাসড়ক হওয়া সত্ত্বেও আনারপুর মোড়ের মতো ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা চরম অবহেলার বহিঃপ্রকাশ। অবিলম্বে প্রতিকার না হলে প্রতিদিনের এই দুর্ঘটনা আরও বড় প্রাণহানির দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।