নিজস্ব প্রতিবেদক।।
চলতি বছরের দাখিল পরীক্ষার ফলাফলে ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসা এক হতাশাজনক চিত্র উপস্থাপন করেছে। মোট ৩২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ৫ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার মাত্র ১৬.৬৭%, যা মেঘনা উপজেলার মধ্যে অন্যতম নিম্ন।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, মাদ্রাসার এমন ফলাফলের পিছনে রয়েছে অযোগ্য কমিটি কর্তৃক মাদ্রাসাকে দলীয়করণ করার অপচেষ্টা এবং অভ্যন্তরীণ শিক্ষক রাজনীতির দলাদলি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলমান। একটি পক্ষ মাদ্রাসার প্রশাসনিক কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ নষ্ট করছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমে মনোযোগ হারাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উভয়ই।
একজন অভিভাবক জানান,
> “আমরা সন্তানদের ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়েছিলাম। কিন্তু এখানে দেখছি, শিক্ষকরা রাজনীতির ছত্রছায়ায় বিভক্ত। ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কেউ ভাবছে না।”
মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
> “একদল চাচ্ছে মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ পেতে, আরেক দল শুধু বিরোধিতা করছে। এই দ্বন্দ্বে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।”
এলাকাবাসী বলছেন, দলীয়করণ ও দলাদলি শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস করে দেয়। তাই অবিলম্বে মাদ্রাসা প্রশাসনে দক্ষ, অরাজনৈতিক এবং শিক্ষানুরাগী লোকদের অন্তর্ভুক্তি জরুরি।
অভিভাবক মহল ও সচেতন সমাজের দাবি, ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার মান রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি, নয়তো ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে।