নিজস্ব প্রতিবেদক।।
মেঘনা উপজেলা প্রকৌশলী এমদাদুল হক, ৩৩ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনের গৌরবময় পথচলার অবসান ঘটিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর জীবনে প্রবেশ করলেন। বিদায় অনুষ্ঠানে ছিল না কেবল আনুষ্ঠানিকতার বাঁধাধরা রীতি, বরং তা পরিণত হয়েছিল এক আবেগময় মিলনমেলায়।
মেঘনার সামাজিক সংগঠন, অফিসার্স ক্লাব, সাংবাদিক মহল, ঠিকাদারবৃন্দ ও সহকর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন তাঁর দীর্ঘ কর্মপথের সাফল্য ও নিষ্ঠার স্বীকৃতি জানাতে। অনুষ্ঠানের প্রতিটি মুহূর্তে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও অশ্রুর মিশ্রণে ভরে উঠেছিল পরিবেশ।
বিদায়ী মুহূর্তে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে এমদাদুল হক বলেন,
“সুদীর্ঘ ৩৩ বছরের কর্মজীবনের সফলতার সঙ্গে পরিসমাপ্তির এই লগ্নে আপনাদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আমাকে অভিভূত করেছে। কর্মজীবনের প্রতিটি স্তরে যারা পরামর্শ ও শিক্ষা দিয়ে সহায়তা করেছেন, তাঁদের প্রতি আমার চিরকৃতজ্ঞতা। আজ গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি যুদ্ধবিধ্বস্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা, এলজিইডি’র স্থপতি, বিশ্ববরেণ্য প্রকৌশলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী স্যারকে।”
সহকর্মী ও অতিথিদের বক্তব্যে উঠে আসে তাঁর পেশাগত সততা, কর্মদক্ষতা ও মানবিক গুণাবলির কথা। অনেকেই স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। কেউ কেউ বলেন—মেঘনার উন্নয়ন প্রকল্পে তাঁর হাতের ছোঁয়া থাকবে চিরকাল, যা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানের শেষ প্রহরে দোয়া ও মোনাজাতে সবাই তাঁর সুস্থ, শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর অবসর জীবনের কামনা করেন। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এমদাদুল হক বলেন
মহান আল্লাহ আমাদের সকলের সহায় হোন—আমিন।