স্টাফ রিপোর্টার :
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ৩১ আগস্ট রাজধানী ঢাকা, ভোলা ও বগুড়ায় পৃথক তিনটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-তে নিবন্ধন ছাড়াই টিভ্যাস সেবার অনুমোদন, রাজস্ব ফাঁকি, করপোরেট সিম সচলের নামে ঘুষ গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যাচাই করা হয়। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি অভিযোগের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় দুদক।
ভোলার চরফ্যাশনে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের টিআর, কাবিখা ও কাবিটা কর্মসূচিতে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি অভিযান চালানো হয়। পরিদর্শনে দেখা যায়, কিছু প্রকল্পের আংশিক কাজ সম্পন্ন হলেও পূর্ণ বিল উত্তোলন করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো প্রকল্পে কাজ না করেই অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এছাড়া বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবায় অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগে পরিচালিত অভিযানে জনবল সংকট চিহ্নিত হয়। রোগীদের মতামত ও বিভিন্ন রেকর্ড যাচাই করে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে পরামর্শ প্রদান করেছে দুদক।
দুদক জানিয়েছে, সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে জমা দেওয়া হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।