মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মাদক ও কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন—বড়কান্দা,গোবিন্দপুর,মানিকারচর, চন্দনপুর, ভাওরখোলা, রাধানগর, চালিভাঙ্গা ও লুটেরচরে ছড়িয়ে পড়েছে মাদকের ছোবল। স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কিশোর গ্যাংয়ের মাধ্যমে খুচরা বাজারজাত করা হচ্ছে মাদক।
(বিজ্ঞাপন)
অভিভাবক মহল জানান, মাদকের কারণে স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হচ্ছে, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পড়াশোনা। এতে সামাজিক বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে। এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে বা লেখালেখি করলে মাদক ব্যবসায়ীদের সন্ত্রাসী বাহিনীর আক্রমণের শিকার হতে হয়। মামলায় আটক হলেও অল্প সময়ের মধ্যেই আসামিরা জামিনে বেরিয়ে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়ে।”স্থানীয়দের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রুটিন অভিযানে সীমাবদ্ধ থাকায় মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো পরিবর্তন আসছে না। মুখে মুখে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি শোনা গেলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ দেখা যায় না।সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, গ্রেপ্তার আসামীদের আইন অনুযায়ী জিজ্ঞাসাবাদ করলে মূল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব। একই সঙ্গে মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে জোরালো অভিযান চালানোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যদি কোনোভাবেই অপরাধীদের সখ্যতা তৈরি হয় তবে সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হবে, আর সেই সুযোগে অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।মেঘনার সর্বস্তরের মানুষের দাবি মাদক ও কিশোর গ্যাং নির্মূলে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির বাস্তব প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।