নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ট্রলারচালক আরিফ সরকারকে অপহরণ করে হত্যার ঘটনায় অবশেষে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যাত্রী সেজে ট্রলারে ওঠা অপহরণকারীরা আরিফের পরিবারের কাছে দেড় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ না পেয়েই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে শুক্রবার সকালে উদ্ধার করা হয় আরিফ সরকারের লাশ। নিহত আরিফ আড়াইহাজারের খাগকান্দা ইউনিয়নের খাগকান্দা গ্রামের বাসিন্দা ও পেশায় একজন মাঝি। স্থানীয়দের কাছে তিনি সদালাপী ও স্নেহধন্য মানুষ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুর খবরে পুরো ইউনিয়নে নেমে আসে শোকের ছায়া। এ ঘটনায় খাক কন্দা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে প্রত্যাহার করেছে।
এদিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে খাগকান্দায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেছেন এলাকাবাসী। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে তারা সড়ক অবরোধেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে হৃদয় নামের এক যুবককে। হৃদয়ের বাড়ি আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যাচর গ্রামে।
হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে খাগকান্দা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নাল আবেদীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন অফিসার দায়িত্ব নেয়ার আগে ঘটনাটি ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
নিহত আরিফের পরিবার বলছে, “মাঝির কাজ করতে গিয়ে কোনোদিন কারও সঙ্গে বিরোধ হয়নি। কেন তাকে এভাবে হত্যা করা হলো— আমরা বিচার চাই।”
পুলিশ বলছে, অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়টি তারা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। গ্রেফতার হৃদয়কে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলতে পারে।