মেঘনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি মন্তব্য প্রকাশ করেছেন, যা স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার সুযোগ দেয়। তিনি লিখেছেন, “রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই। আজ যে আপনার শত্রু, কাল সে আপনার পরম বন্ধু; আবার কাল যে শত্রু ছিল, পরের দিন সে বন্ধু হবে। সুবিধাবাদী, সময়োপযোগী এবং নির্লজ্জ রাজনীতি যারা করে, তারা বরাবর ভালো থাকে এবং ফায়দা লুটতে পারে। তবে ব্যক্তিত্ব এবং নেতৃত্ব দুটোই সমুন্নত রেখে একজনের উপর আস্থা রাখলে নোংরা রাজনীতির মাঠেও স্থিতিশীল থাকা সম্ভব।”
এই মন্তব্য শুধুমাত্র ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিফলন নয়, বরং এটি স্থানীয় রাজনীতির জীবন্ত বাস্তবতাকেও তুলে ধরে। রাজনৈতিক মাঠে চরম স্থায়িত্ব খুবই কম, এবং সম্পর্কগুলো সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। আজকের শত্রু কালকে বন্ধু হয়ে যেতে পারে, আবার বিপরীতও সম্ভব।
দেলোয়ার হোসেনের বক্তব্যে যে বাস্তবতা স্পষ্ট, তা হলো সুবিধাবাদী রাজনীতি। যারা সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে, তারা প্রায়শই রাজনৈতিক সুবিধা অর্জন করে এবং স্বার্থসিদ্ধি পায়। এ ধরনের রাজনীতি নৈতিকতার দিক থেকে কখনো প্রশংসনীয় নয়, কিন্তু বাস্তব রাজনীতিতে এর প্রভাব অস্বীকার করার উপায় নেই।
তবে একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের সমন্বয় থাকলে রাজনৈতিক নোংরামির মধ্যেও স্থিতিশীল থাকা যায়। একজন নেতা যদি নিজের নীতি ও আস্থা বজায় রাখেন, তবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতেও দলীয় ঐক্য এবং ব্যক্তিগত মর্যাদা টিকে থাকে। এটি স্থানীয় রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা, বিশেষ করে যুব নেতাদের জন্য।
সার্বিকভাবে, দেলোয়ার হোসেনের মন্তব্য স্থানীয় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মিশ্রণ। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে রাজনীতিতে চূড়ান্ত শত্রু বা চূড়ান্ত বন্ধু নেই, তবে আস্থা, নেতৃত্ব এবং নৈতিকতা সবসময় মূল্যবান। স্থানীয় পর্যায়ের রাজনীতিতে এই দিকগুলো সচেতনভাবে প্রয়োগ করলে, দল এবং ব্যক্তি উভয়ের জন্যই দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হতে পারে।