২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই বিন্দুবাংলা টিভি ডটকম পক্ষপাতহীন, বস্তুনিষ্ঠ ও জনমুখী সাংবাদিকতার মান ধরে রাখার চেষ্টা করে আসছে। আমাদের কোনো স্পনসর, দাতা বা রাজনৈতিক ছত্রছায়া নেই—এটাই শক্তি, আবার এটিই সীমাবদ্ধতা। পর্যাপ্ত জনবল বা আর্থিক সামর্থ্য না থাকলেও আমরা বন্ধ হইনি; বরং ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে গেছি।
শুরুর দিকে কাজের মান, গতি ও গ্রহণযোগ্যতা ছিল উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আর্থিক টানাপোড়েনে প্রতিষ্ঠানটি কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। তবুও আমরা কখনো হাল ছাড়িনি।
২০১৭ সালে তথ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়ম মেনে অনুমোদনের জন্য আবেদন করি। যাচাই-বাছাইয়ের সব রিপোর্টই ইতিবাচক ছিল, তবে কিছু গতানুগতিক ও অপ্রয়োজনীয় অফিসিয়াল জটিলতা এবং তৎকালীন রাজনৈতিক পরিবেশের কারণে অনুমোদন পাইনি। সেদিন যেমন তদবির করিনি, আজও করি না। পেশাদারিত্ব ও নৈতিকতার জায়গা থেকে আমরা আজও আপসহীন।
বড় হাউজ না হলেও আমাদের স্বপ্ন বড়। অনেকের কাছে বিন্দুবাংলা টিভি ক্ষুদ্র উদ্যোগ মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে এটি হাজার স্বপ্ন, শ্রম, মেধা এবং নিজস্ব অর্থবিনিয়োগের দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রাম। কোনো বিজ্ঞাপন বা স্পনসর ছাড়া টিকে থাকা সহজ ছিল না—তবুও টিকে আছি।
এই আট বছরে বহু নবীন সংবাদকর্মী বিন্দুবাংলা টিভি থেকে ক্যারিয়ার শুরু করে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, কেউ কেউ সেলিব্রিটি সাংবাদিক। তাদের এই অগ্রযাত্রাই আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
আমাদের শক্তি—পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও সকল সহযোগীদের অবিচল সমর্থন। আপনাদের অনুপ্রেরণাই আমাদের এগিয়ে যেতে সাহায্য করে।
আমরা চাই দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার একটি টেকসই প্ল্যাটফর্ম গড়তে। ভবিষ্যতে কেউ বিনিয়োগ বা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে এলে এই স্বপ্ন আরও শক্ত ভিত্তি পাবে। না পেলেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব—কারণ প্রচেষ্টা কখনো ব্যর্থ হয় না।
শেষ পর্যন্ত যদি বন্ধও হয়ে যায়, তবুও আফসোস থাকবে না। আমরা চেষ্টা করেছি—এটাই আমাদের গৌরব।
বিন্দুবাংলা টিভি ডটকম – সত্যের পথে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে, জনস্বার্থের পাশে।