• বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২৩ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]

ড.খন্দকার মোশাররফের উন্নয়নেই বদলে যায় দাউদকান্দি-মেঘনা -তিতাস

বিপ্লব সিকদার / ৩৪ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫

 

দীর্ঘ দুই মেয়াদে সাবেক সফল মন্ত্রী,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, অধ্যাপক Ω ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে দাউদকান্দি, তিতাস ও মেঘনা এলাকায় যে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে, তা স্থানীয় অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও বিদ্যুৎ–গ্যাস খাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি এনে দিয়েছে। ১৯৯১–১৯৯৬ এবং ২০০১–২০০৬ সময়ে তার পরিকল্পিত উন্নয়ন উদ্যোগে এ অঞ্চলের গ্রামীণ যোগাযোগ থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত প্রতিটি খাতে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন ঘটে।

সর্বোচ্চ গুরুত্বের প্রকল্প হিসেবে মেঘনা–গোমতী (দাউদকান্দি) সেতুর নির্মাণ এবং ১৯৯৪ সালে উদ্বোধন দেশের যোগাযোগব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। নির্বাচনী এলাকায় প্রায় ৮৫ শতাংশ গ্রামে বিদ্যুতায়ন ও দাউদকান্দির ৬৩ শতাংশ এলাকায় গ্যাস সংযোগ স্থানীয় উন্নয়নকে গতিশীল করে তোলে। একই সময়ে তিতাস ও মেঘনা উপজেলাকে পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন, প্রশাসনিক কার্যক্রমকে বিকেন্দ্রীকরণ এবং সেবাদান প্রক্রিয়াকে সহজ করেছে।

শিক্ষাখাতে উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, দাউদকান্দি পৌর ও ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় দুটি কলেজ প্রতিষ্ঠা এবং ৪৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়। গৌরীপুর বিলকিস মোশাররফ বালিকা বিদ্যালয়, গোপালপুর ড. মোশাররফ হাইস্কুল, নৈয়াইর ড. খন্দকার মোশাররফ হাইস্কুল এবং সোনাকান্দা রহমানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা এই অঞ্চলের শিক্ষায় আলাদা মাইলফলক তৈরি করেছে।

স্বাস্থ্যখাতে মেঘনা ও তিতাস উপজেলায় ৩১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং দাউদকান্দিতে ২০ শয্যা হাসপাতাল নির্মিত হয়। পাশাপাশি ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের শহীদনগরে ট্রমা সেন্টার স্থাপিত হওয়ায় দুর্ঘটনায় আহত রোগীরা দ্রুত সেবা পাচ্ছেন।

যোগাযোগব্যবস্থায়ও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটে—দাউদকান্দি–গোয়ালমারি–শ্রীরায়ের চর–মতলব উত্তর, বাতাকান্দি–মাছিমপুর–খানেরবাড়ী, গাজীপুর–জগৎপুর–ভুঁইয়ারবাজার, পেন্নাই–কাউয়াদি–বাবুরহাট, আমিরাবাদ–কচুয়া মহাসড়কসহ শতাধিক বড়–ছোট সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন হয়। প্রায় ৬০০টি কালভার্ট ও ব্রিজ নির্মাণ এবং শত শত গ্রামীণ সড়ক বাস্তবায়নে পুরো অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে।

মৌসুমি প্লাবনভূমিতে ১৫০টির বেশি মৎস্যচাষ প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। দাউদকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, কবরস্থান ও মসজিদ সম্প্রসারণ–উন্নয়নও সামাজিক জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

সার্বিকভাবে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের উন্নয়ন নেতৃত্ব দাউদকান্দি–তিতাস–মেঘনা অঞ্চলের চেহারা পাল্টে দিয়েছে—এলাকাকে করেছে উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ একটি আদর্শ মডেল।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন