হাদি’র শেষ বিদায়ে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে শনিবার তৈরি হয় বাঁধভাঙা জনস্রোত। সকাল থেকেই নানা বয়স ও শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল নামে জানাজাস্থলে। পুরুষদের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের উপস্থিতিও চোখে পড়েছে।
জানাজায় অংশ নিতে আসা নারীদের সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও উপস্থিত নারীরা জানান, হাদিকে শেষ বিদায় জানাতে তারা পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একাত্মতা প্রকাশ করতেই এসেছেন। অনেক শিশু বাবার হাত ধরে জানাজাস্থলে উপস্থিত হয়।
জনসমুদ্রে বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তাদের কণ্ঠে ভেসে আসে নানা স্লোগান— *‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘তুমি কে আমি কে—হাদি হাদি’, ‘হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘হাদির খুনিদের ঠাঁই এই বাংলায় হবে না’, ‘নারায়ে তাকবির—আল্লাহু আকবার’*সহ আরও নানা প্রতিবাদী ধ্বনি।
দুপুর ২টার নির্ধারিত জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ আসতে থাকেন। মানিক মিয়া এভিনিউয়ের প্রতিটি গেট দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে প্রবেশ নিশ্চিত করা হয়।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা প্রয়োজন অনুযায়ী তল্লাশি চালিয়ে জানাজাস্থলে প্রবেশের অনুমতি দেন।
এদিকে অনেককে কালো ব্যাজ কিনে হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। কেউ কেউ জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তার দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।