• রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]

প্রফেসর পরিচয়ের অপব্যবহার: নীরব অপরাধ কেন?

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ২৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫

রবিউল হুসাইন :
“প্রফেসর” কোনো অলংকার নয়, এটি একাডেমিক জীবনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি। দীর্ঘদিনের শিক্ষকতা, গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদনের মধ্য দিয়েই এই পদ অর্জিত হয়। অথচ বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে কিছু লেকচারার বা নিম্নপদস্থ শিক্ষক নিজেকে অনায়াসে ‘প্রফেসর’ হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। প্রশ্ন হলো, এটি কি নিছক ভুল, নাকি নীরব অপরাধ?
আইন ও নীতিমালার দৃষ্টিতে বিষয়টি মোটেও হালকা নয়। কোনো শিক্ষক যদি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই নিজেকে প্রফেসর দাবি করেন এবং সেই পরিচয় ব্যবহার করে সামাজিক মর্যাদা, পেশাগত সুবিধা বা আর্থিক লাভের চেষ্টা করেন, তবে তা প্রতারণার পর্যায়ে পড়ে। বাংলাদেশের দণ্ডবিধি অনুযায়ী মিথ্যা পরিচয়ে সুবিধা গ্রহণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় আইন ও ইউজিসির নীতিমালায় এটি স্পষ্ট শৃঙ্খলাভঙ্গ।
আইনের বাইরেও রয়েছে বড় নৈতিক সংকট। শিক্ষক সমাজের কাছে সততা প্রত্যাশিত। সেখানে ভুয়া পদবি ব্যবহার শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে এবং প্রকৃত যোগ্য শিক্ষকদের প্রতি অবিচার সৃষ্টি করে। এতে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রফেসর হওয়া সম্মানের, কিন্তু সেই সম্মান নিজে নিজে ঘোষণা করার নয়। যোগ্যতা, নিয়ম ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াই একমাত্র পথ। ভুয়া পরিচয়ের এই প্রবণতা বন্ধ না হলে শিক্ষা ব্যবস্থার ভিতই দুর্বল হয়ে পড়বে—এ বিষয়ে এখনই কঠোর হওয়া জরুরি।

লেখক – কলামিস্ট।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন