• রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এখন সময়ের দাবি মেঘনায় জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষায় ৯ শতাংশ নীরব অনুপস্থিতি: পরীক্ষার হলের বাইরে পড়ে রইল ভবিষ্যৎ আগামীকাল মেঘনায় আসছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন মেঘনায় অবৈধ করাত কলের দখল, প্রশাসনের নীরবতা রহস্যজনক দুদক অধ্যাদেশ ২০২৫: সংস্কারের নামে কতটা বাস্তব পরিবর্তন? কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সর্দার সাদ্দামসহ ৭ জন গ্রেফতার, অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে জনসমুদ্র—কনকনে শীত ভেদ করে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষা সিডিএতে প্ল্যান অনুমোদনে ঘুস ও হয়রানির অভিযোগে দুদকের অভিযান একদিনে তিন জেলায় দুদকের অভিযান , ফাঁস অনিয়মের চিত্র ইগো: নীরব এক সামাজিক রোগ

মেঘনায় জুনিয়র বৃত্তি পরিক্ষায় ৯ শতাংশ নীরব অনুপস্থিতি: পরীক্ষার হলের বাইরে পড়ে রইল ভবিষ্যৎ

বিপ্লব সিকদার / ৮২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষা—শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই ও ভবিষ্যৎ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। অথচ কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় অনুষ্ঠিত চলতি বছরের পরীক্ষায় এক উদ্বেগজনক চিত্র সামনে এসেছে। কেন্দ্র কোড–১১২, মেঘনা–১ কেন্দ্রে নিবন্ধিত ২৭১ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি ২৪ জন। শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৯ শতাংশ। এই অনুপস্থিতি কেবল সংখ্যার হিসাব নয়, এটি শিক্ষাব্যবস্থার ভেতরে জমে থাকা ব্যর্থতার একটি নীরব দলিল।
পরীক্ষার আগ পর্যন্ত তালিকাভুক্ত থাকা শিক্ষার্থীরা হঠাৎ করেই কেন পরীক্ষার হলের বাইরে রয়ে গেল—এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলেই উঠে আসে শিক্ষা বাণিজ্যিকীকরণের নির্মম বাস্তবতা। নিয়মিত বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও অনেক শিক্ষার্থী আজ কোচিং ও টিউশন ছাড়া নিজেকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত মনে করে না। ফলে আর্থিক অক্ষমতা তাদের আত্মবিশ্বাস কেড়ে নেয়, পরীক্ষার আগেই তারা মানসিকভাবে ঝরে পড়ে।
এ বাস্তবতায় বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনাও দায় এড়াতে পারে না। বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি শিক্ষার মানোন্নয়নের পরিবর্তে ক্ষমতা ও প্রভাব বিস্তারের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ, বদলি কিংবা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে টানাটানির ভিড়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক অবস্থা, দুর্বলতা বা ঝরে পড়ার ঝুঁকি কার্যত উপেক্ষিতই থেকে যায়।
বছরজুড়ে ফলাফল উৎসব, সংবর্ধনা, ব্যানার আর বাহারি আয়োজন চোখে পড়লেও শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক যত্নের ঘাটতি স্পষ্ট। দুর্বল শিক্ষার্থী চিহ্নিতকরণ, আলাদা সহায়তা ক্লাস কিংবা পরীক্ষাভীতি দূর করার কার্যকর উদ্যোগ প্রায় অনুপস্থিত। ফলে আয়োজন যত বাড়ে, শিক্ষার গভীরতা ততই কমে আসে।
এই ২৪ জন অনুপস্থিত শিক্ষার্থী কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তারা শিক্ষাব্যবস্থার সেই অংশ, যারা চাপ, ভয় ও বৈষম্যের কাছে হার মেনে নেয়। শিক্ষাকে যখন অধিকার নয়, বরং ব্যয়সাপেক্ষ প্রতিযোগিতা হিসেবে দাঁড় করানো হয়, তখন এমন ঝরে পড়া অনিবার্য হয়ে ওঠে।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য বন্ধ আছে।

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন