May 3, 2024, 3:34 am
সর্বশেষ:
মেঘনায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় মাদ্রাসার বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাত করেছে অধ্যক্ষ মেঘনায় বিএনপি থেকে বহিস্কৃত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় একাধিক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দুদকের পরিচালক থেকে মহাপরিচালক পদে পদন্নোতি পেলেন শিরিন পারভীন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মন্ত্রী–এমপিদের চাপে মাঠ প্রশাসন,  স্পিকারকে চিঠি দেবে ইসি মেঘনায় পাকের ঘরে রাতে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা মেঘনায় ফেসবুক ‘ফেক’ আইডির বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগ শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে হেট্ট্রিক করতে ভোটারের দ্বারেদ্বারে শিরিন মেঘনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়

বন্যা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ!

১২ আগষ্ট ২০২০, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্ট :
বন্যা ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আমাদের দেশের জন্য আশীর্বাদ বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বন্যা আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করে ঠিকই, আবার এক বছর বন্যা না হলে আমাদের এই অঞ্চলের পানির স্তর ৫ ফুট নিচে নেমে যাবে। যা আমাদের জন্য হুমকি।

মঙ্গলবার বন্যা ও করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় শীর্ষক লাইভ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন এলজিআরডি মন্ত্রী।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে যদি বন্যা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের পানির স্তর পাঁচ ফুটের মতো নিচে নেমে যাবে। এক বছর যদি পানি না আসে, এটা কিন্তু আমাদের জন্য একটা বড় ধরনের থ্রেট (হুমকি)।

মন্ত্রী বলেন, বন্যার পানির কারণে ক্ষয়ক্ষতি হয় ঠিকই, কিন্তু সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের পেছনে বন্যার একটা অবদান আছে।

তাহলে বন্যা কী আমাদের দেশের জন্য আশীর্বাদ বলতে চান? এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ডেফিনেটলি। বন্যা না হলে এখানে পানি থাকবে না। এই ভূখণ্ডটা পলি আসতে আসতেই সৃষ্টি হয়েছে। এই অঞ্চল রিচার্জ না হলে ফসলাদি হবে না। খাল, বিলে পানি থাকবে না। আমরা এখন যেমন ডিপটিউবওয়েলের মাধ্যমে পানি পাচ্ছি, সেটা পেতাম না। আমাদের পলি মাটির দেশ। কাজেই বন্যার ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও থাকবে।

বন্যা ও করোনা পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত এলজিআরডি মন্ত্রণালয়?
এমন প্রশ্নের উত্তরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাজের ব্যাপ্তি গ্রামের শেষ শেকড় পর্যন্ত বিস্তৃত। বিভিন্ন দুর্যোগ দুর্বিপাকে এই প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত থাকতে হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করতে সুবিধা হয়। এবার করোনা পরিস্থিতিতে যাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়েছে এমন লোকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধিদের হাতে। এখানে কিছু কিছু অনিয়ম ব্যত্যয় ঘটেছে। কিন্তু সংখ্যায় অত্যন্ত কম। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের দায়িত্ব পড়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপর। তারাই আসলে সক্ষম প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক ভাবে কাজ করার সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনের রয়েছে। কারণ জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মানুষের একটা নিবিড় সম্পর্ক থাকে, সঙ্গত কারণেই তারা জানে কোথায় কার কী সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যা কীভাবে সমাধান করা যায়। ফলে তাদের ওপর দায়িত্বটা পড়লেই তারা সঠিকভাবে করতে পারে।

মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না কেন? জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মানুষের কী কোনো দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে? এমন প্রশ্নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এটা তো শুধু বাংলাদেশের বেলায় না। যেসব দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৬০ হাজার ডলার, তারাও পারছে না। তাছাড়া মানুষের ওপর নির্যাতনমূলক কিছু করাটা গণমাধ্যমও সমর্থন করবে না। এজন্য আসলে সচেতন করতে হবে। তাছাড়া গ্রামে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কম।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা