February 27, 2025, 9:24 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত লাকসাম যাওয়ার পথে মির্জা ফখরুলকে শুভেচ্ছা জানান অধ্যক্ষ মোঃ সেলিম ভূঁইয়া মেঘনায় এসিল্যান্ডসহ কর্মকর্তাহীন একাধিক দপ্তর, সেবাবঞ্চিত নাগরিকরা ডিসিদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ হাসিনা এখনো ক্ষমতায় থাকলে আমাদের ফাঁসি দিয়ে দিত : রুহুল কবির রিজভী  আজ মেঘনা উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল, প্রধান অতিথি রিজভী বিয়ের পিড়িতে বসা হলোনা রেমিট্যান্স যোদ্ধা আনিসুর রহমানের   মেঘনা বিএনপির সম্মেলন ঘিরে ব্যস্ত সেলিম ভুইয়া, শনিবার আসছেন রুহুল কবির রিজভী র‍্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবে সবাই বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের সময় দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার

অভিমানে নিরুদ্দেশ হওয়ার ৬ বছর পর মিললো সন্ধান

২০ জুন ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

হবিগঞ্জ সদরের আশেরা গ্রামের মৃত সফর আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (৪৪) অভিমান করে নিরুদ্দেশ হয়ে যান ছয় বছর আগে। তিনি দিনমজুরের কাজ করছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মেরাশানী গ্রামে। সেই তৈয়ব আলীর সন্ধান ছয় বছর পর পেলো পরিবারের সদস্যরা।

তৈয়ব আলীর ভাতিজা আজগর আলী জানান, তৈয়ব আলী পেশায় ছিলেন রিকশাচালক। বিয়ে করেছিলেন ৪টি। প্রথম স্ত্রী তিন মেয়ে ও এক ছেলে রেখে মারা যান। সন্তানরা সবাই ঢাকায় থাকেন। প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন তৈয়ব আলী। দ্বিতীয় স্ত্রীও মারা গেলে তৃতীয় বিয়ে করেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তালাক দিয়ে চলে যান।

তিনি বলেন, তৃতীয় স্ত্রী চলে গেলে চতুর্থ বিয়ে করেন। চতুর্থ স্ত্রী নিয়ে অভাব-অনটনের মধ্যে সংসার চলছিলো। অভাবের কারণে একসময় বসতবাড়িও বিক্রি করে ফেলেন। যার ফলে চতুর্থ স্ত্রীও ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। এরপর থেকেই তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না।

আজগর আলী জানান, অনেক খোঁজাখুঁজির পর শনিবার (১৯ জুন) তৈয়ব আলীর খোঁজ মিলেছে। তবে তিনি খুব অসুস্থ। অসচেতন অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

তৈয়ব আলীকে খুঁজে পেতে সহযোগিতা করেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লোকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তার চাচা ফরহাদ আহমদে আব্বাস এবং সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।

সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন তৈয়ব আলী নামের এক ব্যক্তি। তিনি রাতে রেলওয়ে স্টেশনের পরিত্যক্ত ঘরে বসবাস করতেন। গত কয়েকদিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বার আমাকে জানান। পরে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তার কাছে থাকা একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে বিজয়নগরের ইউএনও তৈয়ব আলীর পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেন। অবশেষে হবিগঞ্জে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।

বিজয়নগর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানালে তৈয়ব আলীর সঙ্গে থাকা আইডি কার্ডের ঠিকানা খোঁজ করা হয়। আমি হবিগঞ্জ সদরের ইউনিয়নের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করি। অবশেষে তার পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা