July 25, 2025, 3:38 pm
সর্বশেষ:
মেঘনায় এসএসসির প্রশংসাপত্রে স্কুলের টাকা আদায় : প্রধান শিক্ষকের স্বীকারোক্তি ১৫ জেলায় ৩ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা শুভাকাঙ্ক্ষীদের সুমতি—উন্নতির পথে অদৃশ্য শক্তি মেঘনায় বিএনপির দ্বন্দ্ব নিরসনে হাইকমান্ডের উদাসীনতায় ভিন্ন দলগুলোর পোয়াবারো মেঘনা ‘দূর্গম’ কেন—পুনর্মূল্যায়ন এখন সময়ের দাবি মেঘনায় খাস জমি, হালট ও খাল উদ্ধারে প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা দরকার মেঘনায় টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ: বেলে মাটি, অনিয়ম ও ভাঙনের গল্প শিক্ষা সবার জন্য—টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম মেঘনায় বিএনপির ৩১ দফা নারীদের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে: নেতৃত্বে চাই ছাত্রী-নারী সক্রিয়তা

পিরোজপুরে মোবাইল কিনে না দেয়ায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

০৩ জুলাই ২০২১, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, ডেস্ক রিপোর্টঃ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মোবাইল কিনে না দেয়ায় ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে বালিপাড়া ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের বাড়ি থেকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্কুলছাত্রীর নাম মারজিয়া (১৫)। সে ইন্দুরকানীর সেতারা স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ও ইন্দুরকানী বাজারের মাংসব্যবসায়ী আবুল কালাম হাওলাদারের মেয়ে।

আবুল কালাম হাওলাদার বলেন, রাতে মারজিয়াকে ঘুমাতে পাঠিয়ে আমরা সবাই ঘুমাতে যাই। সকালে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করি। সে মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে গেছে। তাতে লেখা ছিল, মারা যাওয়ার পরে আমাকে বালিপাড়া দারুল উলুম কওমি মাদরাসার পাশে দাফন করা হোক।

তিনি বলেন, মেয়েকে মোবাইল কিনে দেয়া নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিলে। গতকালও এ নিয়ে অনেক কথা হয়। আমি ইন্দুরকানী বাজারে গিয়েও দোকান বন্ধ থাকায় মোবাইল কিনতে পারিনি।

বালিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন বয়াতী বলেন, এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আমি অভিভাবকদের বলবো আপনারা সন্তানদের প্রতি খেয়াল রাখবেন। যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পিরোজপুরে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন


ফেসবুকে আমরা