১০ আগষ্ট ২০২১,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
ওসমান গনি,
গজারিয়া প্রতিনিধিঃ মুন্সিগঞ্জর গজারিয়া উপজেলা গজারিয়া টেংগাচর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মিরপুর শাহী মসজিদ থেকে বৈদ্দারগাঁও বাজার পর্যন্ত রাস্তাটি এখন জন দুর্ভোগের চরম কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় মিরপুর শাহী মসজিদ-বৈদ্দারগাঁও বাজার রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করে টেংগারচর ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের মানুষ।তাঁরা বছরের পর বছর ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে, ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ এই গ্রামীণ রাস্তাটিতে এই বর্ষায় একাধিক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। গ্রামবাসীর উদ্যোগে রাস্তাটির কিছু অংশে মাটি ভরাট করে দিলেও বৃষ্টির পানিতে সেগুলো ভেঙ্গে গিয়ে এবং ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করার কারণে বর্তমানে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ভাবে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা, মিশুক, ট্রাক্টর, পাওয়ারট্রলি সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। বর্ষায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে গর্তে পানি জমে গেলে এসব যানবাহন চলাচল করতে পারে না। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে রাস্তাটির কিছু অংশে ইট পেতে দেওয়া হলেও সেগুলো উঠে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে এ রাস্তায় ভ্যান, ভটভটি ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন চলাচল করে না।
এ রাস্তাটি দিয়ে টেংগাচর কেরামত আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও উত্তর শাহ্পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি স্কুল ও মাথা ভাঙ্গা মহিলা মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতয়াত করে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে কাদা পানি থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি।স্থানীয় নাসির উদ্দীন, ছলিম প্রধান, খোরশেদ আলম, আব্দুর রহমান, মনির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বর্তমান সরকার উপজেলার বিভিন্ন বড় রাস্তাসহ অনেক ছোটখাট রাস্তা পাকাকরণ করলেও এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকাকরণ করছে’না।
সোহেল হোসেন, আমজাদ হোসেন, সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকেই বলেন, ‘আমরা চরম অবহেলিত এলাকায় বসবাস করি, যার কারণে দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায় এখনো পর্যন্ত আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া লাগেনি। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অনেকবার জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল পড়ে আছে।’
কলেজ শিক্ষার্থী আশ্রাফুল আলম জানান, “দীর্ঘদিন যাবত তাঁরা কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে আসছেন। গ্রাম থেকে প্রায় ১ কিঃমিঃ পরেই পাকা রাস্তা পাওয়া যায়। অথচ সামান্য কাজ না করায় যাতায়াত করতে জনগণকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
অটোরিকশাচালক আবুল হোসেন বলেন, রাস্তায় অনেক খানাখন্দ থাকায় প্রতিদিনই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। এ রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে সুস্থ-সবল মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। অনেক সময় রিকশায় করে এই রাস্তা দিয়ে রোগী নিয়ে গেলে তাঁদের অবস্থা আরও কাহিল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় প্রশাসন বেশ কয়েকবার রাস্তাটি পরিদর্শনে এসেও অদৃশ্য কারণে রাস্তাটি পাকা হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও রাস্তাটি এখনো বেহাল দশায় পড়ে আছে। তারা রাস্তাটি দ্রুত পাকা করণ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর এটা দীর্ঘদিনের দাবি বলে তারা জানান।
টেংগাচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম সালাউদ্দিন মাস্টার জানান,টেংগাচর ইউনিয়নের গুরুত্বপুর্ণ রাস্তাটির পাকা করণের জন্য কর্তৃপক্ষের সাথে তিনি যোগাযোগ করেছেন। পরে রাস্তাটি পাকাকরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পি আইও পরিদর্শন এসে পাকাকরণে আশ্বস্ত করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই রাস্তাটি পাঁকাক রনের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে কিন্তু করোনা ভাইরাস ও লকডাউন থাকায় কাজে ওয়ার্ক অর্ডার দিতে একটু দেরি হচ্ছে, তবে আশা করি আগামী সপ্তাহের মধ্য লকডাউনে শিথিল হলে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।