২৫ জুন ২০২২ইং বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
মেঘনা প্রতিনিধি :
মেঘনার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বড়ইয়া কান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা শাখা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছেন প্রশাসন তবে উত্তোলন কৃত বালুর হদিস নেই।
শনিবার উপজেলার বড়ইয়া কান্দি গ্রামে স্থানীয় জনগণের সাথে মুক্ত আলোচনা সভা করে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং সে সভায় স্থানীয় জনগণের বক্তব্যে বলেন যে বালু উত্তোলন করা হয়েছে সে বালু কই গেল? এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আক্তার, সহকারী কমিশনার ভুমি লিটন চন্দ্র দে, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ ছমিউদ্দিন, উপ পরিদর্শক মিলন, চালিভাঙ্গা নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক মোঃ রফিকুল ইসলাম, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বিপ্লব, সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান রনি।
স্থানীয়রা জানান ২০ থেকে ২৫ টি ড্রেজার বালু উত্তোলন করেছে কিন্তু আশ্রায়ন প্রকল্পেতো এখনো পাইপই ফিটিংস শেষ হয়নি তা হলে বালু কই? সরেজমিনে জানা যায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের স্থানীয় ৩ মেম্বার কয়েক মাস পূর্বে নদী খননের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেন।
এ দিকে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত ৬১ জন গৃহহীনদের তালিকা দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের নিকট। গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের জন্য চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নল চর গ্রামে খাস জমি বাছাই করে প্রশাসন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নদী খননের আবেদন ও আশ্রায়ন প্রকল্পে বালু ভরাট করার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে উভয় চিন্তা করে আশ্রায়ন প্রকল্পের জমি ভরাটের জন্য যতটুকু বালু প্রয়োজন সেই বালু উত্তোলনের মৌখিক অনুমতি দেয়।
সেই প্রেক্ষিতে গত বুধবার বালু উত্তোলন শুরু করলে স্থানীয় জনগণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতন মহল তীব্র প্রতিবাদ করলে বালু উত্তোলন বন্ধ হয় এবং গতকাল শনিবার স্থানীয়দের সাথে মুক্ত আলোচনা হয়। স্থানীয়রা বক্তব্যে বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানালে তাৎক্ষণিক প্রশাসন বালু উত্তোলন হবেনা বলে ঘোষণা দেন এবং আশ্রায়ন প্রকল্পের কাজ কিভাবে হবে সে বিষয়ে তিন গ্রামের মুরুব্বি, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে পূনরায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ড্রেজার ব্যবসায়ী বলেন একটি ড্রেজার ঘন্টায় যদি যান্ত্রিক ত্রুটি না হয় তা হলে ১০ হাজার ঘনফুট বালু উত্তোলন করতে সক্ষম। এলাকাবাসীর মধ্যে বক্তব্য রাখেন দেলোয়ার হোসেন মাস্টার, সাবেক মেম্বার শহিদ মিয়া, ইব্রাহীম মেম্বার, ইউনিয়ন আওয়ামিলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান, সেরাজী হাজী,আওয়াল মেম্বার,সানাউল্লাহ মেম্বার, সাবেক মেম্বার আব্দুল কাদির। ওসি বলেন এ বিষয় নিয়ে যেন কোন প্রকার আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে। কোন সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানাবেন ।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।