মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন যখন স্থলপথ ও নদীপথের চাঁদাবাজি এবং ঘুষ বানিজ্য নিয়ে লেখালেখি করেন তখন বিষয়টি থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাকের নজরে আসে। পরে বুধবার সকালে আমাদের এই প্রতিনিধির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
আলোচনায় ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ইদানীং বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে চোরা গুপ্তভাবে মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে এবং নৌকা দিয়ে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি এই সমস্ত কাজে জড়িত হচ্ছে বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে মেঘনা থানায় কর্মরত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এসবে জড়িত নেই। যদি অপরাধীদের সঙ্গে আমাদের কোন অফিসার জড়িত থাকে বা এইরূপ তথ্য পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সিএনজি, অটোরিকশাসহ সকল যানবাহনের চাঁদাবাজির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখে চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় আনার জন্য থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসাথে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, মামলা, অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নিকট থেকে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার জন্য থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সতর্ক করা হয়েছে মর্মে জানান তিনি।