কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসে ফের দেখা মিলেছে বিষধর সাপের। ফলে দপ্তরের সমস্ত দাপ্তরিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। অস্থায়ী এই দপ্তরটি দ্রুত উপজেলা পরিষদের ভেতর নিরাপদ স্থানে স্থানান্তরের দাবি তুলছেন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষসহ দলিল লেখকরা।
উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিস সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ দিন আগে রেকর্ড রুমে অফিস স্টাফদের চোখে প্রথম সাপ ধরা পড়ে। পরে স্থানীয় ওঝা ডেকে একটি সাপ, ২৪টি ডিম ও কয়েকটি বাচ্চা সাপ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকেই অফিসে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
গত ২৩ নভেম্বর (রোববার) রেকর্ড রুমে প্রয়োজনীয় কাজে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল আকৃতির একটি সাপের মুখোমুখি হন অফিস সহকারী (মোহরার) নাছিমা আক্তার। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বলে জানান তিনি।
পরদিন ২৪ নভেম্বর (সোমবার) সকালেও একই রুমে আবার সাপ ঘোরাফেরা করতে দেখা গেলে বিষয়টি জেলা রেজিস্ট্রারকে জানানো হয়। পরে তিনি অফিসের সকল কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আক্তার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, “আগামীকাল আবার ওঝা এনে সাপ উদ্ধার করা হবে। এর আগেও ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি বড় সাপ, কয়েকটি বাচ্চা সাপ ও ডিম উদ্ধার করা হয়েছিল। ভয়তো আছেই।”
দলিল লেখক ইদ্রিস আলী ও শওকত আলী বলেন, “অফিসে ঢুকলেই ভয় লাগে। পাশে গরুর খামারের দুর্গন্ধ, বৃষ্টি হলে ছাদ বেয়ে পানি পড়ে—এমন জরাজীর্ণ স্থানে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অফিসটি দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তর জরুরি।”
শিবনগর গ্রামের তারেক বলেন, “এত গুরুত্বপূর্ণ একটি দপ্তর ঝুঁকিপূর্ণ একটি ঘরে অস্থায়ীভাবে চালানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। যত দ্রুত সম্ভব উপজেলা পরিষদ বা আশপাশের নিরাপদ কোনো রুমে অফিসটি স্থানান্তর করা উচিত।”
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা সাব-রেজিস্টার আইরিন রহমান সনির কাছ থেকে বক্তব্য নিতে মোবাইলে ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।