কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রতিটি সেক্টরেই আজ একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার চেয়ে স্বেচ্ছাচারিতার চর্চা যেন অনেক ক্ষেত্রেই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। ব্যক্তি স্বার্থ, প্রভাব-প্রতিপত্তির দাপট এবং ‘আমি চাই তাই হবে’ ধরনের মানসিকতা স্থানীয় পর্যায়ে নানামুখী সংকট তৈরি করছে।
আইনকে পাশ কাটিয়ে ব্যক্তিগত ইচ্ছা-অনিচ্ছার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা আচরণ করার প্রবণতা শুধু প্রশাসনিক শৃঙ্খলাই নষ্ট করছে না, বরং সমাজে ভয়, অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করছে। যে সমাজে আইনের শাসন দুর্বল হয়, সেখানে ন্যায়বিচার ও জনস্বার্থ দু’টিই হুমকির মুখে পড়ে।
মেঘনার মতো একটি সম্ভাবনাময় উপজেলায় এই বাস্তবতা অত্যন্ত হতাশাজনক। উন্নয়ন, সুশাসন, নিরাপত্তা সবকিছুর ভিত্তি হচ্ছে আইন মানা এবং নিয়ম-নীতির প্রতি শ্রদ্ধা। অথচ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নিয়মভঙ্গকারীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে, আর আইন মেনে চলা মানুষ উপেক্ষিত হচ্ছে। এই বৈপরীত্য সমাজে ভুল বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে।
এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে হলে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক সংগঠন এবং নাগরিক সবাইকে একই জায়গায় দাঁড়াতে হবে। স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রশ্রয় নয়, বরং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীলদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই হবে সুশাসনের প্রথম ধাপ।
সবার উচিত উপলব্ধি করা আইনের শাসন মানা কোনো বাধ্যবাধকতা নয়, এটি একটি সভ্য সমাজের পরিচয় এবং উন্নয়নের পূর্বশর্ত। এখন সময় এসেছে ব্যক্তির ক্ষমতার দাপট নয়, আইনের ন্যায়সংগত প্রয়োগকে প্রাধান্য দেওয়ার। तभी মেঘনা উপজেলা প্রকৃত অর্থেই নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী পথে এগিয়ে যেতে পারবে।