সৈয়দ কামাল,ফেনী থেকেঃফেনীর ছনুয়ায়
পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোঃবেলায়েত হোসেন (৫২) কে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁর মুরগীর ফার্মের কর্মচারী মোঃফুজয়েল আহাম্মদ (১৭)।আসামী ফুজয়েল নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার,হেলুচিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।আজ ২০ মে সোমবার দুপুরে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইনের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান,হত্যা মামলার একমাত্র আসামী মোঃফুজয়েল আহাম্মদকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়।হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে আসামী ফুজয়েল।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়,ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের মধ্যম ছনুয়া গ্রামে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী মোঃবেলায়েত হোসেন গত ১৭ মে রাতের খাবার শেষে বাড়ি থেকে মুরগির খামারের টিনের ঘরে যান। এরপর গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তাঁকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজা খুঁজি করেন।পরবর্তীতে উপায়ন্তর না দেখে নিখোঁজ হওয়া বেলায়েতের পরিবারের লোকজন ফেনী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরে গত শুক্রবার পুলিশ গিয়ে ওই মুরগির খামারে নিহতের বিছানায় রক্তের দাগ দেখতে পায়।এ সময় আসামী মোঃ ফুজয়েল আহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।তাঁর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ১৯ মে রোববার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সংলগ্ন সদর উপজেলার উত্তর ছনুয়া গ্রামের একটি খাল থেকে বেলায়েতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।আসামীকে সোমবার আদালতে হাজির করাহলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বেলায়েত হোসেনকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করার পর,পাশের খালে গুম করার উদ্দেশ্যে ঘাস ও পানির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।হত্যাকান্ডের ঘটনায় বা লাশটি নদীতে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সাথে অন্যকোন সহযোগী ছিলো কিনা,পুলিশের করা এমন একটি প্রশ্নের জবাবে ফুজয়েলের উত্তর উভয় কাজই নাকি সে একা করেছে।
এঘটনায় নিহতের বড় ভাই মোঃআমির হোসেন বাদী হয়ে পোল্ট্রি ফার্মের কর্মচারী মোঃফুজয়েল আহাম্মদকে আসামী করে ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।