২০ জুন ২০১৯ ,, বিন্দুবাংলা টিভি. কম, দিলারা আক্তার লুনা :
তুলে নিয়ে বিয়ে থেকে শুরু করে সর্বশেষ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাকে ঘুষ প্রদানের কারণে আলোচিত-সমালোচিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বা সম্পত্তির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার আশংকা থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১২ জুন পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানে দায়িত্ব দেয়া হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক মঞ্জুর মোরশেদকে।
ঘুষগ্রহণ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে আগের অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর এই নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মরিয়ম আক্তার ইকো নামে এক তরুণীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে করার অভিযোগ রয়েছে ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। বিষয়টি ফাঁস করে দেওয়ায় ওই তরুণীকে মামলা দিয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার করান তিনি।
এ ছাড়া এক সংবাদ পাঠিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তোলপাড় শুরু হলে দুটি তদন্ত কমিটি করে পুলিশ সদর দপ্তর। দুটি কমিটিই ডিআইজি মিজানের কর্মকাণ্ডকে ‘অসদাচরণ ও নৈতিক স্খলনথ হিসেবে উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করে। গত বছরের শুরুতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগও আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
এদিকে গত বছরই মিজানের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। গত ৮ জুন গণমাধ্যমে অডিও প্রকাশ করে মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।