২৩ জুন ২০১৯, বিন্দুবাংলা টি.. কম,
হারুনুর রশিদ শেরপুর প্রতিনিধি ঃ শেরপুরের নকলায় ডলি খানম (২২) নামে অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর মামলায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার দাবিসহ সারাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা মহিলা পরিষদ। ২৩ জুন রবিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুবের হাতে ওই স্মারকলিপি তুলে দেন জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী জয়শ্রী দাস লক্ষ্মী ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুন্নাহার। ওইসময় জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান, সাবেক কমিশনার নীরু শামছুন্নাহার নীরা, রওশন আরা, আঞ্জুমান আরা যুথীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্মারকলিপি গ্রহণকালে জেলা প্রশাসক অন্তঃস্বত্ত্বা গৃহবধূকে বর্বরোচিত নির্যাতনের ঘটনায় সহানুভূতি প্রকাশ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তার তরফ থেকে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। পরে মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ একই দাবিতে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে গিয়ে তার বরাবর একটি পৃথক স্মারকলিপি পেশ করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় নির্যাতিতা নারীর স্বামী শফিউল্লাহ বাদী হয়ে আদালতে দায়ের করা নালিশী মামলায় রবিবার ধার্য তারিখেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি পিবিআই। ওই মামলায় ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ভিকটিমের এমসি সংগ্রহপূর্বক প্রতিবেদনের আদেশ ছিল। বিষয়টি নিশ্চিত করে নালিশী মামলার বাদী জানান, একই বিষয়ে পরবর্তীতে থানা পুলিশ নিয়মিত মামলা গ্রহণ করায় নালিশী মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুল ইসলাম খান তা থানায় তদন্তাধীন মামলার পুলিশ রিপোর্ট দাখিল হওয়া পর্যন্ত তার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ মে নকলা উপজেলার কায়দা গ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই অন্ত:স্বত্ত্বা গৃহবধূকে গাছে বেঁধে বর্বরোচিত নির্যাতন এবং নির্যাতনে গৃহবধূর গর্ভের সন্তান নষ্টের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩ জুন আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী। এরপর নির্যাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীমের দ্রুত পদক্ষেপে গত ১১ জুন এক সেনা সদস্যসহ ওই গৃহবধূর ৩ ভাসুর ও জাসহ ৯ জনকে স্ব-নামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা গ্রহণ করা হয়।
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অবশ্যই লগইন করতে হবে।