• শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০১ পূর্বাহ্ন
  • [gtranslate]
সর্বশেষ
মেঘনায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গণমিছিলকে কেন্দ্র করে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ, সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ মেঘনায় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত সদর দক্ষিণ সার্কেল অফিসে পুলিশ সুপারের বার্ষিক পরিদর্শন মেঘনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: হাসপাতালকে জরিমানা, ডেন্টাল কেয়ার সিলগালা সাপ আতঙ্কে মেঘনা সাব-রেজিস্টারের অস্থায়ী অফিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্থানান্তরের দাবি জনসাধারণের কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ, উন্নয়ন বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রধান অতিথির কঠোর সমালোচনা গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে : তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এখানে যদি দুর্নীতি চায় কি না—এমন গণভোট করি শতভাগ মানুষ ভোট দেবে ‘চাই না’ : দুদক চেয়ারম্যান কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা দলের সহ-নারী বিষয়ক সম্পাদক হালিমা আক্তারের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার মেঘনায় প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি

দোয়ারাবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : পানিবন্দি সাড়ে ৪ হাজার পরিবার

নিজস্ব সংবাদ দাতা / ১৫৫ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

১৩ জুলাই ২০১৯,বিন্দুবাংলা টিভি. কম,
দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃসুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গত ৮ দিনের টানা বর্ষণ ও অব্যাহত পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন ৯ ইউনিয়নের সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের পানিবন্দি মানুষ। রাস্তাঘাটসহ নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢোকায় অধিকাংশ পরিবারের উঁনুনে হাঁড়ি বসছেনা। উপজেলার কনসখাই, নাইন্দা, বন্দেহরি, পান্ডারখাল, গৌরিপুর, হিঙ্গিমারি, শান্তিপুর, গোয়ারাই, বড়ঝাই, কানলা ও দেখার হাওর তলিয়ে গেছে। ঢলের তোড়ে ভেসে গেছে শতাধিক পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে শত শত হেক্টর উঠতি আউশ-ইরি, সদ্য বপন করা আমনের বীজতলা, সবজি ক্ষেতসহ মাঠঘাট ও গোচারণ ভূমি। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বৃহস্পতিবার থেকে উপজেলার ১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উপজেলার সুরমা ইউনিয়নস্থ বৈঠাখাই কমিউনিটি ক্লিনিকটি কালের সাক্ষি হয়ে হাওরের মাঝখানে নির্বাক একাকি দাঁড়িয়ে থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত হচ্ছে। উপজেলা সদরে সুরমার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে অফিসপাড়াসহ বাসাবাড়ি পানিতে থৈ থৈ করছে। উপজেলা পরিষদের সম্মুখস্থ পাকা সড়কসহ নদীপাড়ের অব্যাহত ভাঙনে রাতদিন আতঙ্কে কাটছে ব্যবসায়ীদের। ইতোপূর্বে দোয়ারাবাজার-সুরমা লাফার্জ সড়কের মাস্টার পাড়া এলাকায় দীর্ঘ রাস্তা ও দোকানপাটসহ ৭টি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দোয়ারাবাজার সদর ও সুরমা ইউনিয়ন ছাড়াও বগুলা, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, বাংলাবাজার, দোহালিয়া, পান্ডারগাঁও ও মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা গত তিনদিন ধরে নৌকাযোগে উপদ্রুত এলাকাসমুহ পরিদর্শনকালে বন্যা আক্রান্ত হতদরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। তার সাথে রয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মেহের উল্লাহ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমেদ, ওসি আবুল হাশেম, উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু চন্দ্র পাল প্রমুখ। এ ছাড়া সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য উপজেলা সদরে একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। উপদ্রুত এলাকায় শুকনো খাবার বিতরণ ছাড়াও আমাদের মেডিকেল টিম দ্বারা পানি বিশুদ্ধিকরণ ও প্যারসিটামল ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে বলে ইউএনও সোনিয়া সুলতানা এ প্রতিবেদককে জানান। দূর্যোগ মোকাবেলায় ইতোমধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


আপনার মতামত লিখুন :

মন্তব্য করুন

এই জাতীয় আরো খবর দেখুন