তিনি আরো বলেন, উপকুলীয় এলাকায় সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি, এনজিও কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। মহাপিবদ সংকেত শুরু হলে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষেদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশ্রয়ন কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মসজিদে মাইকে প্রচার, প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে দূর্যোগ মোকাবেলায় ৫ লাখ নগদ টাকা, ২০ মেট্রিক চাল, ২ হাজার শুনকনো খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। গবাদি পশু জীবন রক্ষায় আক্রন্ত এলাকার মানুষদের সাইক্লোন শেল্টারে পূবে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) খালেদ হোসাইন, সিভিল সার্জনসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা বৃন্দ।
এদিকে সোনাগাজী উপজেলাকে দূর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণাকরে ওই এলাকায় দূর্যোগ মোকাবেলায় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃসোহেল পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম, আমিরাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল আলম, চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মিলন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নোমানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সোহেল পারভেজ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ফণী আঘাত হানা পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোনাগাজীর ৩৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলায় একটি নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে এবং ১৪টি চিকিৎসকদল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।